একটা ঝড়ের নাম সব্যসাচী – ঐন্দ্রিলা। পৃথিবীতে সবাই ভালোবাসে। কিন্তু কিছু কিছু ভালোবাসা সাধারণের মধ্যে অসাধারণ হয়ে মানুষের মনে জায়গা করে নেয়। আর এই জেনারেশনে বাংলার এরকমই একটি ভালোবাসার জুটির নাম হল সব্যসাচী – ঐন্দ্রিলা।
ভালোবাসার জন্য খ্যাত যে নামগুলো, সেগুলো সারা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। জেমকন রাধা কৃষ্ণ, তেমনই রোমিও জুলিয়েট। ওদিক লেয়লা মজনু আবার এদিকে রাম – লীলা। কিন্তু দুঃখের বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই যেটা অধরা থেকে যায়, সেটা হল মিলন। অফুরন্ত ভালোবাসার মাঝে একটা বিচ্ছেদ।
অবশেষে একসঙ্গে থেকে হ্যাপি এন্ডিং হতে দেখা যায় না। আর সেই কারণেই বোধয় আরও বেশি করে মনে থেকে যায় এই সম্পর্কগুলো। সব্যসাচী – ঐন্দ্রিলার গল্পেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দ্বিতীয়বার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা। কিন্তু সব কষ্টের মধ্যে একটা মুখ তাকে শান্তি দিত।
শয়ে শয়ে কেমো থেরাপির কষ্ট সহ্য করে নিতেন, কিন্তু সব্যসাচীর মুখ দেখলে যে শান্তি তাতে তিনি কষ্ট ভুলে যেতেন। অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। আর সুস্থ হওয়ার পর নিজেই এই কথাগুলো বলেছিলেন দিদি নং ১ এর মঞ্চে। আর ঐন্দ্রিলার কষ্টকে নিয়ে এক আকাশ লেখা লিখতেন সব্যসাচী।
তাঁরা একা কোনওদিনই ছিলেন না। অনেক মানুষ তাঁদের সুখ দুঃখের সাথী ছিলেন। আর যখন সবটা গুছিয়ে এল তখনই আবার সবটা অগোছালো হয়ে উজাড় হয়ে গেল। একটার পর একটা হার্ট অ্যাটাক, আর বাঁচানো যায়নি ঐন্দ্রিলাকে। পায়ে চুম্বন করে শেষ বিদায় জানিয়েছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী। আর এই প্রেম কাহিনীই এবার ফুটে উঠল বাংলাদেশের একটি নাটকে।
ওই যে সাধারণের মাঝে অসাধারণ ভালোবাসা গণ্ডি সীমানা মানে না। ওপার বাংলার মানুষও মনে প্রাণে ভালবেসেছে এই জুটিকে। আর নামিয়ে ফেলল আস্ত নাটক। নাটকের নাম, “কোথায় খুঁজি তোরে”। তাতে ঐন্দ্রিলার ভূমিকায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা ও সব্যসাচীর ভূমিকায় ফারহানকে দেখা যাচ্ছে।