একসময় টি আর পি রেজাল্টে সবার প্রথমে থাকা ধারাবাহিককে চোখে আঙুল দিয়ে টেক্কা মেরে এক সময় প্রথমে ছিল অনুরাগের ছোঁয়া। কিছু পয়েন্টের ব্যবধানে নয়, বরং বেশ ভালো নম্বরেই টেক্কা দিয়েছিল অনুরাগের ছোঁয়া। কিন্তু সেই টি আর পি লিস্টের অবনতি সেই যে শুরু হয়েছে, সেটাকে যেন আর ঠিক করা যাচ্ছে না।
মাঝে যদিও সোনা রূপার মিষ্টি দুষ্টু স্বভাব বেশ ভালোই টি আর পি এনেছিল। কিন্তু যারা দেখছেন তাঁরা জানেন অনুরাগের ছোঁয়ার মুখ্য চরিত্র সূর্য দীপার মধ্যে মনোমালিন্য ও ভুল বোঝাবুঝি হওয়ায় একে ওপরের থেকে অনেকদিন ধরেই দূরে রয়েছেন।
কিন্তু এই একই জিনিস দেখতে দেখতে দর্শকদের বিরক্তি লাগতে শুরু করে। তখনই এক ঝটকায় ৯.১ থেকে টি আর পি ৮.৮ এ নেমে এসেছিল। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বরং সূর্যকেও টেক্কা দিতে চলে এসেছে আরও একটি চরিত্র। সেটি হল স্রোত। কিন্তু এসবের ঊর্ধ্বেও যে বসে থাকে, যাকে দর্শকরা দু চোখে সহ্য করতে পারে না, সে হল মিশকা।
এমনিতেই সূর্য আর দীপা একে অপরকে ভুল বোঝাতে এক্সপার্ট। আর এই ভুল বুঝে অনেকগুলো দিন তাঁরা আলাদা থেকেছে। আর এই আলাদা থাকা, এই বিচ্ছেদ তো আর কিছুতেই ভালো লাগছে না দর্শকদের। উল্টে যেন সূর্য দীপার নয়, দর্শকদেরই গলার কাঁটা হয়ে গিয়েছে মিশকা।
কিন্তু এসবের মাঝেও সোনা রূপা যেমন ধারাবাহিকের টি আর পি ধরে রেখেছে, তেমনই সূর্য আর দীপাকে কিন্তু এক করতেও সাহায্য করছে। সোনার শরীর খারাপ থেকেই তো কতদিন পর সূর্য আর দীপা একসঙ্গে সময় কাটালো। এসব দেখে তো দর্শকদের চোখ জুড়িয়েছেই।
আরও একটা কান্ড দেখে চোখ জুড়িয়ে গিয়েছি। সম্প্রতি এই সপরিবারে দার্জিলিং মেলে করে ঘুরতে যাচ্ছে, সেখানে ঠিক কায়দা করে সোনা রূপা মিলে ট্রেনের বাথরুমে বন্ধ করে দিয়েছে মিশকাকে। এবার এক্সপ্রেস ট্রেনের টয়লেটের গন্ধ যে কতটা মায়াময় হয়, সেই ধারণা সবারই রয়েছে। আর সেই আনন্দে এক অনুরাগী তো লিখেই দিলেন, “টয়লেটের মন মাতানো সুগন্ধ শুঁকতে শুঁকতে দার্জিলিং যাক, মিশকার মতো শি’ট- এর ওটাই আসল জায়গা”।