মানুষে যেভাবে ষাঁড়ের তাড়া খায় সেভাবেই যেন বাংলা সিরিয়ালগুলো তাড়া খেয়েছে। আর এখানে ষাঁড় হল নিম ফুলের মধু (Neem Fuler Modhu)। আসলে বাংলা ধারাবাহিকগুলোর এখন একটাই ফর্মুলা। টি আর পি (TRP) আসবে, আর টি আর পি যাবে। এই নতুন ফান্ডা। তাতে মার্কেটে কত কত নতুন ধারাবাহিক। এখন বাজারে নতুন নতুন ধারাবাহিকের ঢল নেমেছে।
একের পর এক ধারাবাহিক আসবে, কিন্তু নয়া মোড়কে। গল্প কী কিছু আলাদা! এবং শুধু এইটুকুই নয়। এর জন্য ধারাবাহিকে পুরোনো গল্প দেখানো হয় নতুন ভাবে। নতুন মোড়কে নতুন আন্দাজে নতুন ধরনের বহু ধারাবাহিক উঠে আসছে।
আর নেপথ্যে থাকছে টি আর পি। আর তাতেই মাত্র ছয় মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমন অনেক ধারাবাহিকের উদাহরণও আছে। মাত্র ৪০০-৬০০ টা এপিসোডেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমন অনেক ধারাবাহিকের উদাহরণ রয়েছে। আর সম্প্রতি এই নিদর্শন আরও একবার গড়ে তুলেছে বাংলার আরও এক ধারাবাহিক। বেশ কোমর বেঁধেই তাড়া করেছে এটি।
প্রসঙ্গত সেই বিষয়ে খোদ দর্শকরা নিজেরাই বলছে। অকালে প্লট হারিয়ে ফেলছে বেশ কিছু ধারাবাহিক। আসলে অনেকেই এই টি আর পি না থাকার ক্ষেত্রে অনেক কিছুকে দায়ী করে। যেমন অনেকেই মনে করেন, মুখ দর্শকদের খুব চেনা না হলে সিরিয়ালে টি আর পি আসে না। এই জন্য আমরা নায়ককে হঠাৎ ভিলেন হয়ে যেতে দেখি নতুন চেনা মুখ দেখানোর জন্য।
কিন্তু এইসব যে কিছুই হয়না তার হিসেব খোদ দর্শকরাই দিচ্ছে। অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনটি মুখ, তৃণা, কৌশিক ও ইন্দ্রশিষের জুটি নিয়ে তৈরি করা হল। কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়ে ধারাবাহিকটি। ওদিকে চ্যানেলের দিক দিয়ে প্রাইম স্লটেও ছিল। কিন্তু তাতেও কিচ্ছু হচ্ছে না। ওদিকে তারপরের স্লটেই অনুরাগের ছোঁয়া মাতিয়ে রাখছে।
ওদিকে একই গল্প গুড্ডিরও। দু সপ্তাহতেই স্লট চেঞ্জ হয়ে গেল। আসলে এখন দর্শকরা এত কূটকচালি নিতে চায় না। একজনতো লিখেওছেন, “ওই গোল টেবিলের দিন চলে গিয়েছে”। আসলে যেটা হিট করার এমনিই করবে, ঐশ্বর্য্য রায়কে নিয়ে বাজে কাজ করালেও হিট করবে না।