বর্তমানে ধারাবাহিকগুলো নির্ভর করে টিআরপির উপর। যার যত বেশি টিআরপি, সেই ধারাবাহিক তত বেশি স্থায়ী হচ্ছে। আগের মতো এখনের সিরিয়ালগুলো বছর বছর চলে না। টিআরপি কম হলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই মেগা। তাই টিআরপি ধরে রাখতে ধারাবাহিকে একের পর এক চমক আনা হচ্ছে। কম্পিটিশনটাও যেন অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
ধারাবাহিকের টিআরপি ধরে রাখতে অনেকে বিয়ের পর্বগুলিকে কাজে লাগাচ্ছে। আর এই বিয়ের পর্ব দেখতে বাঙালিরা বেশ পছন্দ করে। তাই একবার নয় নায়ক-নায়িকার বহুবার বিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। আর সেই পথেই হাতল ‘এক্কাদোক্কা’। তবে এখানে নায়ক-নায়িকার নয় বিয়ের মণ্ডপে বসল নায়কের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ে।
নায়ক পোখরাজ, রঞ্জাবতী বলে একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসে। অন্যদিকে নায়িকা রাধিকার সঙ্গে ড: গুহর সম্পর্ক গাঢ় হতে দেখা যায়। এমনকি ড: গুহর বাবা রাধিকাকে তার ছেলেকে বিয়ে করার প্রস্তাবও দেয়। গল্প যেদিকে এগোচ্ছিল তাতে অনেকেরই ধারণা হয়, হয়তো ধারাবাহিকের নায়ক পোখরাজ নয়, ড: গুহ।
আর এই জটিলতার কারণেই বারবার এই ধারাবাহিক ট্রোলের শিকার হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধারাবাহিকের গল্পের কোনো মানে নেই। শুধু দিনের পর দিন টেনেই যাচ্ছে। এমনকি আসল নায়ক কে? তাও স্পষ্ট নয়। আবার শোনা যাচ্ছে, রঞ্জাবতী নাকি ড: গুহর স্ত্রী। আসলে তারা এতদিন নাটক করছিল পোখরাজ আর রাধিকার মিল করানোর জন্য।
একের পর এক সিন্ ধাঁধায় রেখে দিচ্ছে দর্শকদের। এক দর্শক এবার এই ধারাবাহিক তুলে নেওয়ার অনুরোধ করল। তিনি বলেন, এক্কা দুক্কাকে ৫টায় না হলে দুপুরে দিক। পঞ্চমী আনুরাগের মতো হাই বোল্টেজ ড্রামার মাঝে এই ম্যারম্যারে শো আসলে চ্যানেল ঘুরিয়ে মাস্টারশেফ দেখি। #ঝাটাদুক্কা”।