২০০২ সালের ১৪ই জুন বাংলা ছবির মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সিনেমা ‘সাথী’ আত্মপ্রকাশ করেছিল। যদিও জানা যায়, পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত এই ছবিতে নাকি প্রথমে অভিনয় করার কথা রঞ্জিত মল্লিক কন্যা কোয়েলের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হয় নায়িকা বদল। টলিউড সুপারস্টার জিতের সঙ্গে এই সিনেমায় অভিনয় করেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। এই সিনেমা দিয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পান প্রিয়াঙ্কা। ওই সিনেমার ‘ও বন্ধু তুমি শুনতে কী পাও’-এর মতো গান আজও সিনেপ্রেমীদের মনে অক্ষয় হয়ে রয়ে গেছে।
সেইসঙ্গে বাংলা সিনেমা পায় এক দারুণ হিট জুটি। একইসঙ্গে বাংলা সিনেমার সর্বাপেক্ষা হিট ছবির তালিকায় নাম ঢুকিয়ে নেয় সাথী। উল্লেখ্য, আজ থেকে এত বছর আগে সেই দিনে দাঁড়িয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার ওপরে ব্যবসা করেছিল এই সিনেমা। সম্পূর্ণ প্রেমের গল্পে মোড়া এই সিনেমা বলা যায় একপ্রকার গতি দিয়েছিল অভিনেতা জিতের কেরিয়ারকে। সেইসঙ্গে টলিউড পেয়েছিল নতুন একজন হিরোকে। আর এক মিষ্টি চেহারার অভিনেত্রীকে।
সেই হিরো এখন টলিউড কিং হলেও কোথায় হারিয়ে গেলেন সেই অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্র? সাথী অভিনেত্রীর এটাই যে প্রথম সিনেমা এমনটা নয়, উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে মিস ক্যালকাটা হন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর দু’বছর পর বাসু চট্টোপাধ্যায়ের ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবির মধ্যে দিয়ে ফেরদৌসের বিপরীতে অভিনয় দুনিয়ায় হাতেখড়ি হয় এই বাংলা সিনেমার পর্দা কাঁপানো অভিনেত্রীর।
এই অভিনেত্রীর এখন আর দেখা মেলেনা। তবে কী উবে গেলেন নাকি অসংখ্য ভক্তদের মনে রাজত্ব করা এই অভিনেত্রী। বর্তমানে এই অভিনেত্রী দক্ষিণী সুপারস্টার উপেন্দ্র রাও-এর ঘরনি। তাঁর পরিচয় এখন আর প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী নামে নয় বরং তিনি পরিচিত প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্র নামে। বর্তমানে দক্ষিণী ছবির দুনিয়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ তিনি।
তবে বর্তমান টলিপাড়া থেকে উধাও প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্র। শেষবার এই অভিনেত্রীকে জিতের ‘হ্যালো মেমসাহেব’ ছবিতে দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর। বর্তমানে ঘোরতর সংসারী এই অভিনেত্রী। মেয়ে ঐশ্বর্য ও ছেলে আয়ুশ এবং স্বামীকে নিয়ে ভরা সংসার ৪৪ বছর বয়সী এই নায়িকার।
দীর্ঘদিন টলিপাড়া দূরে থাকলেও টলিউডের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে এখনও সম্পর্ক অটুট প্রিয়াঙ্কার। যদিও এবার তাঁর দেখা মিলবে ‘ডিটেক্টিভ টিকশানা’ ছবিতে এক ডিটেকটিভের চরিত্রে। উল্লেখ্য, পরিচালক সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়ের এই ছবির সঙ্গেই প্রায় এক দশক পর বাংলা ছবিতে ফিরছেন একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা উপেন্দ্র।