দর্শকদের কাছে বাংলা টেলিভিশনে সবথেকে খারাপ ধারাবাহিকের তকমা ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘গুড্ডি (Guddi)।’ স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত হয় এই ধারাবাহিক। যদি এখন এই ধারাবাহিক বিরাট বড় লিপ নিয়ে ফেলেছে। কিন্তু বিতর্ক এই ধারাবাহিক পিছু ছাড়তে নারাজ। আর তাই বিতর্ককে সঙ্গী করেই শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিকের দ্বিতীয় পর্ব।
যেখানে অনুজের ছেলে পুবলুর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে রণজয় বিষ্ণুকেই। তা ছেলেকে অবিকল বাবার মতো দেখতে হয়েছে ঠিক আছে। কিন্তু গুড্ডির পালিতা কন্যা কোন যাদুবলে অবিকল গুড্ডির মতো দেখতে হল তা ঘটে ঢুকছে না আমজনতার।
তবে সে যাই হোক। পুবলু আর রেশমিকে নিয়ে নতুন পথচলা শুরু হয়েছে গুড্ডির। যদিও অনুজ মরে যাওয়ায় বেশ দুঃখই পেয়েছিলেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। আসলে তাঁর মতে দীর্ঘ এক বছরও বেশি সময় ধরে এই জীবনটাকে যাপন করছিলেন তিনি আর তাই হঠাৎ করে সেই চরিত্র থেকে বেরিয়ে যাওয়া তাঁর পক্ষে খুব একটা সহজ হয়নি।
যাই হোক বেশিদিন অবশ্য তাঁকে দূরে থাকতে হয়নি। বাবার ছেলে হয়ে আবারও ছোট পর্দায় ফিরেছেন তিনি এবং তার জন্য লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কে ধন্যবাদও জানিয়েছেন এই অভিনেতা। একইসঙ্গে পবলুর চরিত্রে নতুন কিছু করে দেখানোর জন্য মুখিয়েও রয়েছেন অভিনেতা।
তবে কি জানেন এসবের মাঝেই আবার দেবদাস রূপে ফিরেছেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। তবে বাংলার বুকে নয় এবার ওড়িশার দেবদাস হয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, আসলে ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বরের রবীন্দ্র মণ্ডপে ২৭ এপ্রিল হয়ে গেছে একটি নাটক। এটি ছিল ওড়িশার প্রথম মিউজিক্যাল প্লে এক্সপেরিয়েন্স। ব্রডওয়ের মতো মিউজিক্যাল হিসেবেই এই নাটকটি তৈরি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে এই নাটকের চিত্রনাট্য লিখেছেন দেবদাস ছত্রায়। আর নির্দেশনার দায়িত্ব সামলেছেন দেব মেহের। শরৎচন্দ্রের আইকনিক দেবদাসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘গুড্ডি’ খ্যআত অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। আর পারো অর্থাৎ পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শীতল। আর চন্দ্রমুখীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী বৈশালী।