আদিকাল থেকেই শুনে আসছি শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্ক মানেই হাত-খুন্তিতে যেমন টক্কর লাগে রান্নাঘরে, ঠিক সেরম। একটু ভালোবাসা আবার একটু রাগারাগি এমন করেই চলে শাশুড়ি-বৌমার সংসার। তবে কোনও কোনও সংসারে সেই অশান্তি বেড়ে বিস্ফোরক বোমের আকার ধারণ করে। তবে বর্তমানে সমস্ত সম্পর্কেই রয়েছে বন্ধুত্ব। শাশুড়ি-বৌমা একে ওপরের বন্ধু হয়ে ওঠে। আর যেখানে বন্ধুত্ব সেখানে রাগারাগি তো হবেই, কিন্তু ভালোবাসা থাকবে অনেকখানি।
আর যদি মহানায়ক উত্তমকুমারের পরিবারের কথা বলি, তো সেখানে তো রয়েছে অনেক মানুষ। সেখানে শাশুড়ি-বৌমার মধ্যে কিরূপ সম্পর্ক রয়েছে, তা শুনতে আগ্রহী বেশ অনেক দর্শকই। সম্প্রতি একটি পোস্ট ভাইরাল হতেই দর্শকদের আগ্রহ বেড়ে যায় অনেকখানি। কথা হচ্ছে উত্তমকুমারের বাড়ির বউ দেবলীনা কুমারের কথা। যিনি নায়ক গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। উত্তর কুমারের বাড়ির বউ বলে কথা, অভিনয় কেরিয়ার ও পরিবার দুই সামলাচ্ছেন একা হাতেই।
প্রশ্ন এখানেই, সিরিয়ালের পর্দায় সাধারণত বউমা-শাশুড়িদের যে সমীকরণ দেখানো হয়, বাড়িতেও কি সেই একই ছবি দেখতে অভ্যস্ত দেবলীনা? তবে দেবলীনা সেই দিক থেকে ভীষণ সুখী। তাঁর পোস্ট করা ছবি সেটারই প্রমান দেয়। তাঁকে আগলে রেখেছেন একটা নয় সাত সাতটা শাশুড়ি। রবিবার খোশমেজাজে সকলের সঙ্গে কাটানো সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি শেয়ার করে ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে।
ছবির সাথে লিখলেন, “সব সময় কী সব শাশুড়িরা খারাপ হয়, বা বউমা কে কষ্ট দেয়। মোটেই না। দেখুন আমার কজন শাশুড়ি মা কী মিষ্টি এবং Cool, I am lucky to have these bunch of good fellows with me after my marriage”। বাড়িতে যেরূপ দেবলীনা ভীষণ আদরের মেয়ে ছিলেন, ঠিক সেরূপ শ্বশুরবাড়িতেও। বাড়ির কোনও কাজই তাঁকে করতে হয়না। এমনকি গৌরব খুব ভালো ভালো রান্না করে মাঝে মধ্যেই দেবলীনাকে খাওয়ান। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে সেরূপ পোস্টের প্রায়ই দেখা মেলে।
এমনকি শাশুড়ির জন্মদিনে সেলিব্রেশনের জন্য দুদিনের ছুটিতে বেরিয়ে পড়েছিলেন বৌমা। যদিও ছুটি পাননি গৌরব। রবিবারের ছুটিতে শাশুড়িদের সঙ্গে আড্ডা সাথে নিজে হাতে রাঁধলেন ভাত, কড়াইয়ের ডাল, আলু পোস্ত, মটর পনীর, ডিম কষা, মুরগির ঝোল আর পায়েস। উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিয়ের পর সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন দেবাশিস কুমারের মেয়ে দেবলীনা কুমার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দেবলীনা এমনটাই জানান। তিনি এও জানান, সব ছেড়ে তাঁর হোমমেকার হতেও কোনও আপত্তি নেই। সংসার করতে তিনি ভালোবাসেন, দেবলীনা মনে করেন, গৃহবধূদের বেশি খাটনি কারণ তাঁদের সময়ের কোনও মাফকাঠি নেই।