তিন মাস ধরে আলাদা থাকছেন, অবশেষে ডিভোর্স জিতু-নবনীতার! মনোমালিন্য থাকলে কেন একসঙ্গে ঘুরলেন বিদেশে?

‘টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবে না,, একজনের জন্য বানানো গ্রিন টি আর দুজনে ভাগ করে খাওয়া হবে না,,,’ সম্পর্ক খুবই সূক্ষ্ম একটি সুতোয় বাঁধা থাকে। তবে সেই সুতো ছেঁড়া খুব সহজ নয়, কিন্তু যদি একবার ছিঁড়ে যায় তা আর জোড়া লাগে না। বর্তমানের সম্পর্কগুলো টিকিয়ে রাখা হয়তো অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। আর তাই বিচ্ছেদের কথা আমাদের কানে প্রায়ই আসছে। যদিও সাধারণ মানুষের বিচ্ছেদ নিয়ে অতটাও মাথাব্যথা না হলেও ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের সম্পর্ক নিয়ে বেশ সচেতন সকলে।

কার সম্পর্ক জুড়ছে আর কার ভাঙছে, তা নিয়ে চর্চা প্রায়দিনই। ইতিমধ্যে বেশকিছু তারকার সম্পর্ক ভাঙার কথা আমাদের সামনে এসেছে। এবার সামনে এল আরও এক জনপ্রিয় তারকাজুটির বিচ্ছেদের কথা। সম্পর্ক ভাঙার কথা নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেন অভিনেত্রী নবনীতা দাস। ডিভোর্স হতে চলেছে অভিনেতা জিতু কমল এবং অভিনেত্রী নবনীতা দাসের। সম্পর্ক ভাঙার কথা ফেসবুকে পোস্ট করে জানালেন নবনীতা। তিন মাস ধরেই আলাদা থাকছিলেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে আইনি প্রক্রিয়াও এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। যদিও এখনও বিবাহবিচ্ছেদের শংসাপত্র আসেনি। বিচ্ছেদের কথা শুনে অনেক ভক্তরাই অবাক হয়েছেন। সব ঠিক করে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। কিন্তু তা কি আদোও সম্ভব? কিছু দিন আগেই লন্ডন থেকে ফিরেছেন জিতু এবং নবনীতা। এরমধ্যেই কী এমন ঘটল? যা ডিভোর্সের দিকে এগুয়ে গেল? তিন মাস ধরে যদি তাঁরা আলাদাই থাকেন, তাহলে লন্ডনে নায়কের সঙ্গে কেন গিয়েছিলেন নবনীতা? উঠছে এমন অনেক প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার, ২৯শে জুন সকালে নবনীতা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “টেবিলে দুটো প্লেট একসঙ্গে থাকবে না। টাওয়েল, সানস্ক্রিনের ভাগাভাগি হবে না। জানি এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আমায় প্রস্তুত করে দিয়েছ তুমি। আমরা দুজন দুজনের সাথে ভাল নেই…..প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এই সব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতিটা নয় এই ভাবেই হোক। ভাল থেকো জিতু।” এই দুই তারকার আলাপ বহু দিনের। সিরিয়ালের সেটেই তাদের প্রেম। হঠাৎ সেই সুখের সংসারে হলোটা কি?

এ বিষয়ে এক চ্যানেলকে নবনীতা জানান, “আমি নিজেই বুঝতে পারছি না এই পরিস্থিতি কী ভাবে সামলানো উচিত। কিচ্ছু বুঝতে পারছি না! আসলে কতটা এই ব্যাপারে কথা বলা উচিত, সেটাও বুঝে উঠতে পারছি না।” তিন মাস ধরেই তাঁরা আলাদা ছিলেন বলে জানান নবনীতা। এই সম্পর্কটা তাঁর পক্ষেও একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁদের মতের মিলও হচ্ছিল না অনেক বিষয়ে। যদিও জিতুর জীবনে অন্য কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা তিনি জানেন না। কিন্তু নবনীতার প্রতিমুহূর্তে হয়। ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের আগেই তাঁরা লন্ডন যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন। যেহেতু এটা তাঁর প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, টিকিট বাতিল করলে যদি পরবর্তী কালে কোনও সমস্যা হয়, তাই তাঁরা এই ট্রিপটা বাতিল করেননি বলে জানান নবনীতা।