এই মুহূর্তে বাংলা ইন্ড্রাস্ট্রির অন্যতম সেলিব্রিটি কাপল ছিলেন অভিনেতা জিতু কমল ও অভিনেত্রী নবনীতা দাস। দুজনেই বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। টেলিভিশন থেকেই পথচলা শুরু হয়েছিল এই দুজনের। বয়সের পার্থক্যকে ধুয়ে মুছে দিয়ে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন এই দু’জন।
এই মুহূর্তে বিয়ের ফুল ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী নবনীতা দাস। আর গতবছর সিনেমার পর্দায় সত্যজিৎ রায় রূপে এন্ট্রি নেন জিতু। অনীক দত্তর সিনেমা অপরাজিত’তে সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। দারুণ জনপ্রিয়তা পায় সিনেমাটি। ব্যাপক প্রশংসিত হয় জিতুর অভিনয়। আর তারপর থেকেই সিনেমায় ঝুঁকেছেন জিতু। অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসতে চলেছে তার নতুন সিনেমা ।
জিতুর সত্যজিত হয়ে ওঠার জার্নিতে তার পাশে সব সময় ছিলেন নবনীতা। জিতুকে নিয়ে কেউ মুখ খুললেই প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠতেন তিনি। আর গতকাল সেই মানুষটাই হঠাৎ করে জিতুর থেকে নিজের দূরত্ব ঘোষণা করেছেন। স্বীকার করে নিয়েছেন একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা। এমনকী আগামী অগাস্ট মাসে ডিভোর্সের ডেট ফাইনাল হয়ে যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ মে বিয়ে করেন এই জুটি। এই বছরের বিবাহবার্ষিকীটা তাঁরা কাটিয়েছেন লন্ডনে। নবনীতা জানিয়েছেন লন্ডন সফর একসঙ্গে গেলেও আলাদা আলাদাই ছিলেন তাঁরা। পোস্ট করেননি দুজনে একসঙ্গে কোন ছবিও। আসলে তাঁরা দু’জনে একে অপরের সঙ্গে ভালো নেই। আর তাই আলাদা হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত। যদিও তাঁরা
প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যতদিন বাঁচবেন একসঙ্গে বাঁচবেন হাসিখুশি ভাবে বাঁচবেন।
কিন্তু সেই প্রতিজ্ঞা পূরণের আগেই চার বছরের বিবাহিত জীবন ভেঙে যেতে চলেছে। গতকাল ফেসবুকে বিচ্ছেদ ঘোষণা করেন নবনীতা। যদিও এরপর সেই ফেসবুকেই নিজের ‘বাচ্চা বউকে’ আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন যে জিতু। তাঁদের মধ্যে যে মান অভিমানের পালা চলছে তা বোঝা যায় ওই পোস্ট দেখে।
গতকাল রাতে আবারও সোশ্যাল মাধ্যমে শিব ঠাকুরের একটি ছবি পোস্ট করেন নায়ক। সেখানে তিনি লেখেন ‘সব কিছু জিনিস ব্যক্তিগত রাখার চেষ্টা করুন। ঘুরুন কিন্তু কাউকে বলবেন না। জীবনে সঙ্গী খুঁজে পেলেও জানাবেন না। আনন্দে থাকলে মুখ বন্ধ রাখুন। কারণ ভাল জিনিস বেশি জানাজানি হলেই নষ্ট হয়ে যায়।’ তাহলে কি নবনীতার সঙ্গে তাঁর সুখী দাম্পত্য জীবন লোকের নজর লেগেই নষ্ট হয়ে গেল? এমনটাই কি বলতে চাইছেন অভিনেতা? কি পরিণতি হতে চলেছে জিতু-নবনীতার সম্পর্কের?