‘জীবন আরো পরিষ্কার হয়’, জিতুর সঙ্গে ডিভোর্সের মাঝে আবার নতুন পোস্ট নবনীতার! কিসের ইঙ্গিত তাতে?

বাস্তব জীবনে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন অনেকদিন হল। এদিকে সিরিয়ালে অভিনয় করতে হচ্ছে বিয়ের দৃশ্যে। সান বাংলার ‘বিয়ের ফুল’ ধারাবাহিকে অভিনেতা রাজা গোস্বামীর বিপরীতে রয়েছেন নবনীতা দাস। তা নিয়েও চর্চা চলছে নেট দুনিয়ায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নবনীতা নিজেই তাঁর বিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে আনেন। ‘টেবিলে আর দুটো করে প্লেট থাকবে না,, একজনের জন্য বানানো গ্রিন টি আর দুজনে ভাগ করে খাওয়া হবে না,,,’।

ডিভোর্স হতে চলেছে অভিনেতা জিতু কমল এবং অভিনেত্রী নবনীতা দাসের। সম্পর্ক ভাঙার কথা ফেসবুকে পোস্ট করে জানান নবনীতা। তিন মাস ধরেই আলাদা থাকছিলেন তাঁরা। জানা গিয়েছে আইনি প্রক্রিয়াও এগিয়ে গিয়েছে অনেকটাই। যদিও এখনও বিবাহবিচ্ছেদের শংসাপত্র আসেনি। বিচ্ছেদের কথা শুনে অনেক ভক্তরাই অবাক হয়েছেন। সব ঠিক করে নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। কিন্তু তা কি আদোও সম্ভব?

কিছু দিন আগেই লন্ডন থেকে ফিরেছেন জিতু এবং নবনীতা। এরমধ্যেই কী এমন ঘটল? যা ডিভোর্সের দিকে এগিয়ে গেল? বৃহস্পতিবার, ২৯শে জুন সকালে নবনীতা তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “টেবিলে দুটো প্লেট একসঙ্গে থাকবে না। টাওয়েল, সানস্ক্রিনের ভাগাভাগি হবে না। জানি এই পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আমায় প্রস্তুত করে দিয়েছ তুমি। আমরা দুজন দুজনের সাথে ভাল নেই…..প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এই সব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতিটা নয় এই ভাবেই হোক। ভাল থেকো জিতু।”

এই দুই তারকার আলাপ বহু দিনের। সিরিয়ালের সেটেই তাদের প্রেম। ২০১৯ সালে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দু’জনে। এ বিষয়ে এক চ্যানেলকে নবনীতা জানান, এই সম্পর্কটা তাঁর পক্ষেও একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁদের মতের মিলও হচ্ছিল না অনেক বিষয়ে। যদিও জিতুর জীবনে অন্য কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, তা তিনি জানেন না। কিন্তু নবনীতার প্রতিমুহূর্তে হয়। ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের আগেই তাঁরা লন্ডন যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Nabanita❤ (@nabanita.das)

যেহেতু এটা তাঁর প্রথম বিদেশ ভ্রমণ, টিকিট বাতিল করলে যদি পরবর্তী কালে কোনও সমস্যা হয়, তাই তাঁরা এই ট্রিপটা বাতিল করেননি বলে জানান নবনীতা। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর ইনস্টাগ্রামে নিজের পেজে আবারও একটি ছবি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। কোনও এক বিচের ধারা একাকী দাঁড়িয়ে তিনি। হাতে এখনও রয়েছে বিয়ের চিহ্ন সেই শাঁখা, পরনে রানী চুড়িদার। কম্যান্টে লিখেছেন, ‘কিছু জিনিস আবছা থাকাই শ্রেয়,,, তাতেই জীবন আরো পরিষ্কার হয়’।