বাংলা টেলিভিশনের ক্ষেত্রে এমন অনেক ধারাবাহিক থাকে যেগুলি ভুলে যাওয়া ধারাবাহিকপ্রেমী দর্শকের ক্ষেত্রে একটু কষ্টকর। বলা যায় সেই ধারাবাহিকগুলি মানুষের মনে চিরস্থায়ী আসন দখল করে। একইসঙ্গে সেই ধারাবাহিকগুলি জন্ম দিয়ে যায় চিরস্মরণীয় কিছু জুটির। আজ থেকে পাঁচ-ছয় বছর আগে স্টার জলসার পর্দায় সম্প্রচারিত হওয়া ধারাবাহিক ছিল ইচ্ছে নদী। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে জুটি হিসেবে দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বিক্রম চ্যাটার্জী ও মিষ্টি চেহারার অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়।
পরবর্তীতে ফাগুন বউ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন বিক্রম।তবে ধীরে ধীরে টেলিভিশনের থেকে তাঁকে বেশি দেখা যায় ওয়েব সিরিজ ও সিনেমাতে। অন্যদিকে শোলাঙ্কিও কিন্তু কম যাননা। নিজের সপ্রতিভ অভিনয়ে দর্শকদের মন জিতে নিয়ে টেলিভিশন থেকে ওয়েব সিরিজ এমনকী সিনেমাতেও নিজের দাপট দেখানো শুরু করেন। অবশ্য ফিরেছিলেন জলসার ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’তে। খড়ি রূপে অজস্র ভক্ত-দর্শকের মন জিতে নিয়ে আপাতত বিরতি নিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে সেই জনপ্রিয় বিক্রম-সোলাঙ্কি জুটির সিনেমা ‘শহরের উষ্ণতম দিনে।’ হ্যাঁ, মহীনের ঘোড়াগুলি’ ও ‘গড়ের মাঠ’ ব্যান্ডের জনপ্রিয় গানের লাইন এই ছবির নাম বাছাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রেমে ভরা এই ছবি দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। আর এই সাফল্যের মুহূর্তে আমাদের প্রতিনিধি অনুস্মিতা ভট্টাচার্যের মুখোমুখি অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়!
প্রশ্ন: ইচ্ছে নদী একটা মাইলস্টোন হয়ে থেকে গেছে। সেই সিরিয়াল আর দু-তিনদিন পরে আবার ফিরছে। কেমন লাগছে?
শোলাঙ্কি: ভালোই লাগছে। আমি আজ সকালে উঠেই দেখলাম। বেশ ভালোই লাগছে। খুব জনপ্রিয় একটা শো ছিল। মানুষ এখনও হটস্টারে দেখে। তারা আবার টিভির পর্দায় দেখতে পাবে। আবার আমার অনেক ভক্ত আছে যাঁরা ওই ধারাবাহিকটি যখন হত তখন ছোট ছিল। তারা তাদের মায়েদের মুখ থেকে শুনেছে। কিন্তু এখন তারা দেখতে পারবে। পুরনো একটা কাজ আবার রি-টেলিকাস্ট হচ্ছে এটা বেশ ভালো ব্যাপার। আমার বেশ ভালোই লাগছে।
প্রশ্ন: ইচ্ছে নদীর সময়ে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় সহ অভিনেতা হিসেবে যেমন ছিলেন শহরের উষ্ণতম দিনের শুটিংয়ে বিক্রম চট্টোপাধ্যায় কতটা পাল্টেছেন সহ অভিনেতা হিসেবে?
শোলাঙ্কি: ওর সঙ্গে তখন আমার স্বল্প আলাপ ছিল। তখন অতটা ভালো চিনতাম না। এখন অনেকটা বেশি চিনি। পরিবর্তন বলতে ও নিজের কাজের ব্যাপারে খুবই প্যাশানেট ছিল। এখনও তাই আছে। চেঞ্জ কিছু হয়নি। বরং আরও বেড়েছে কাজের প্রতি ভালোবাসা। নিজের কাজের ব্যাপারে ও সবসময়ই ভীষণ সিরিয়াস। আসলে কী বদলেছে বলার থেকে কী কী বদলায়নি সেটা আমি ভালো বলতে পারব। ও তখনও সিরিয়াস ছিল ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’তে কাজ করলাম একই রকম সিরিয়াস আছে।
প্রশ্ন: শোলাঙ্কি এবং বিক্রম, সেটা ইচ্ছে নদী হোক বা শহরের উষ্ণতম দিনে- এই জুটির ইউএসপি কী?
শোলাঙ্কি: এটা বলাটা ভীষণ মুশকিল। দর্শকদের কীভাবে দেখেন। বলতে পারি দর্শক আমাদের একসঙ্গে দেখতে পছন্দ করেন। একটা কমফর্ট জোন আছে ওর সঙ্গে কাজ করার। যেহেতু আমি ওর সঙ্গে টানা দুবছর টেলিভিশনে কাজ করেছি। আমাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব আছে। কমফর্ট জোনটা কোথাও পর্দায় রিফ্লেক্ট করে। খুব সহজভাবে কাজ করাটাই ফুটে ওঠে পর্দায়। যে কোনও জুটির মধ্যেই আদান-প্রদানটা ভীষণ জরুরী। ওই আদান-প্রদানটা ওর সঙ্গে আমার খুব সহজে হয়। সেটাই বোধহয় ইউএসপি।
প্রশ্ন: সিরিয়ালের ফেরার এই মুহূর্তে কোনও প্রস্তাব এসেছে?
শোলাঙ্কি: প্রস্তাব তো আছেই। কিন্তু আমি ফিরতে চাই না।