সমস্ত কটাক্ষকে বাউন্ডারি পার করিয়ে গুড্ডির সিঁথি রাঙালো অঙ্কুশ! গুড্ডির সাফল্যের রহস্য কী? আড্ডায় জানালেন নব দম্পতি গুড্ডি-অঙ্কুশ

ব্যাপক কটাক্ষ বেজায় সমালোচনার পথ পেরিয়ে ৫০০ পর্বের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলল স্টার জলসার বিতর্কবিদ্ধ ধারাবাহিক ‘গুড্ডি’। ২০২২ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি থেকে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখনীতে পথ চলা শুরু হয়েছিল নতুন এই ধারাবাহিকের। অনেকদিন পর এই ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরেছিলেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু ও অভিনেত্রী শ্যামোপ্তি মুদলি।

না শুরুর পর থেকেই টিআরপি তালিকায় সেই অর্থে প্রভাব ফেলতে পারিনি এই ধারাবাহিকটি। যদিও দর্শকদের প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধারাবাহিকের গল্প কিন্তু বেশ মনে ধরেছিল। কিন্তু তারপর হঠাৎই ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে গল্প। আসে নোংরামি, পরকীয়া। এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকটি দেখতে একদমই পছন্দ করছেন না দর্শকরা। বারবার এই ধারাবাহিকটি বন্ধের আবেদন জানাচ্ছেন। কিন্তু কেউ কর্ণপাত করারই নেই। ‌

বর্তমান সময় যখন খারাপ টিআরপির জন্য লাগাতার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ধারাবাহিক সেখানে ব্যতিক্রম ‘গুড্ডি’। অত্যান্ত খারাপ টিআরপি নিয়ে নতুন মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলে সেলিব্রেশনে মাতল টিম ‘গুড্ডি’। এই ধারাবাহিকে এখন গুড্ডি ও অঙ্কুশের বিয়ের ট্র্যাক চলছে। এই নিয়ে তিনবার বিয়ে হল নায়িকার। অনুজ, যুধাজিৎ, অঙ্কুশ। যদিও অনুজ এবং অঙ্কুশের চরিত্রে অভিনয় করছেন একই ব্যক্তি।

এই ধারাবাহিকে নায়িকার চরিত্র নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। চলেছে তীব্র নোংরা কটাক্ষ। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তবুও গুড্ডি নায়িকা শ্যামৌপ্তি মুদলী বলছেন, ‘সবে ৫০০ পর্ব অতিক্রম করলাম আর‌‌ও অনেক পথ চলা বাকি।’ অর্থাৎ গুড্ডি চলবে। অন্যদিকে নায়ক রনজয় বিষ্ণু এইরকম একটি ধারাবাহিক এবং তাঁর চরিত্রের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন লেখিকা লীন গঙ্গোপাধ্যায়কে‌।

আসলে এই মাইলস্টোন পার করার পর আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন রনজয় ও শ্যামৌপ্তি। সেখানেই রণজয় বলেন পুবলুর চরিত্রে অভিনয় করার থেকে অঙ্কুশের চরিত্রে অভিনয় করাটা তার কাছে অনেক সহজ। আসলে পুবলুর সময়টা তিনি কাটিয়ে এসেছেন। আর সেই জন্যই ওই রকম চঞ্চলতা, বাচ্চা বাচ্চা ব্যাপারটা তাকে আয়ত্ত করতে হয়েছে। সেখানে অঙ্কুশের চরিত্রটা অনেকটাই পরিণত হওয়ায় সুবিধা হয়েছে তার।

শ্যামৌপ্তির অভিনয়ের‌ও ভূয়সী প্রশংসা করেন রনজয়। এত অল্প বয়সে এত পরিণত অভিনয় করার জন্য নিজের সহ অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তিনি। একইসঙ্গে জানান ঠিক কতটা পাংচুয়াল তার সহঅভিনেত্রী। রণজয় বলেন শ্যামৌপ্তির শুটিংয়ে আসার সময় দেখে সময় নির্ধারণ করে নেওয়া যায়। আবার নিজের রণজয় দার প্রতি প্রশংসায় মুখরিত শ্যামৌপ্তিও।

অভিনেত্রী বলেন রনজয় দার অভিনয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার ক্ষমতা বা কিছু বলার ক্ষমতা আমার নেই।‌ অসম্ভব রকমের ডেডিকেটেড উনি। ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবনকে আশ্চর্য দক্ষতায় ব্যালেন্স করতে পারেন তিনি। একই সঙ্গে শ্যামৌপ্তি পর্দার অঙ্কুশের প্রশংসা করে বলেন রনজয় দা ভীষণ ভালো বক্তা। খুব ভালো মেন্টর। যেটা বলেন সেটা খুব গুছিয়ে বলতে পারেন। খুব ভালো বোঝাতে পারেন।