‘তুমি পারলেও আমি দেবতুল্য নই ক্ষমা করব না’! আকাশের অবহেলাকে সঙ্গী করে নতুন জীবনে পা রাখল সন্ধ্যা! নিল স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার চ্যালেঞ্জ

বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে অন্যতম জনপ্রিয় টেলিভিশন শো সন্ধ্যাতারা (Sandhyatara)। স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় এই ধারাবাহিকটি অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের মনোরঞ্জনের সক্ষম হয়েছে। গ্রাম্য সমাজের একটি চিত্র পরিস্ফুট হচ্ছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। সেই সঙ্গে রয়েছে গ্রামের এক খেটে খাওয়া পরিবার আর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মধ্যেকার গল্প।

ত্রিকোণ প্রেমের গল্প ফুটে উঠছে এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে। সন্ধ্যা, তারা এবং আকাশনীল। এই তিনজনের মধ্যে প্রেম সম্পর্কের এক তুমুল ঘনঘটা তৈরি হয়েছে।‌ সন্ধ্যার বোন তারা ভালোবাসে নায়ক আকাশনীলকে।‌ অন্যদিকে নায়কের পছন্দ‌ও তারাকে। কিন্তু নায়কের মায়ের পছন্দ তারই মতো চারিত্রিক গুণ সম্পন্ন সন্ধ্যাকে।

অবশ্য কেউই নিজেদের মধ্যেকার সম্পর্কের এই জটিলতাগুলো সম্পর্কে আগে থেকে জ্ঞাত নয়। আর এর ফলেই আর‌ও জটিল হয়ে ওঠে তাদের সেই সম্পর্কের জাল। এই ধারাবাহিকের নায়ক আকাশনীল শহরে পড়তে গিয়ে প্রেমে পড়ে সন্ধ্যার বোন তারার। আকাশ ও তারার মধ্যে জেগে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। নিজের সমস্ত কিছু দিয়ে নিজের বোনকে শহরে পড়তে পাঠিয়েছিল সন্ধ্যা। দুই বোনের মধ্যে ভাব‌ও বিস্তর। দুজন দুজনের জন্য স্বার্থত্যাগ করতে সদা প্রস্তুত। কিন্তু এর‌ইমধ্যে আকাশনীলের ছবি আসে সন্ধ্যার বাড়িতে। বিয়ে করবে না পণ নেওয়া সন্ধ্যার মধ্যে জেগে ওঠে প্রেমের অনুভূতি। বলা ভালো একতরফা প্রেমের অনুভূতি।

অত্যন্ত পরিশ্রমী কৃষক নারীর চরিত্রে নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। ভীষণ রকম পরিশ্রমী আবার প্রতিবাদী, জেদী সে।অন্যায়কে একেবারেই প্রশ্রয় দেয়না সে। তার প্রতিবাদী সত্ত্বা দেখেই তাকে নিজের ছেলের বউ হিসেবে নির্বাচন করেন বিজয়া মাঠান। অদম্য এক শক্তিশালী নারী চরিত্র এই বিজয়া মাঠানের‌ও। আর তাই নিজের পরিবারের জন্য নিজের ছেলের বউ হিসেবে তিনি নরম সরম মেয়ে নয় বরং দাপুটে কোনও মেয়েকেই চেয়েছিলেন। আর তাই তিনি পছন্দ করেন সন্ধ্যাকে।

স্বামীর ভালোবাসা কী করে আদায় করবে সন্ধ্যা?

বলাই বাহুল্য এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে এক দারুণ শাশুড়ি-বৌমার জুটি দেখতে চলেছেন দর্শকেরা। বাংলা টেলিভিশনে খুবই কম এই ধরনের শাশুড়ি-বৌমার জুটি দেখা গেছে। মায়ের পছন্দ হলে নায়ক আকাশনীলের গ্রামের মেয়ে সন্ধ্যাকে বিয়ে করায় একেবারেই মত ছিল না। কার্যত তার মতের বিরুদ্ধে গিয়ে এই বিয়ে হয়।‌ সন্ধ্যা আকাশনীলকে ভালবাসলেও তাকে ভালোবাসো তো দূর সহ্য‌ও করতে পারছে না আকাশ।‌ সে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সন্ধ্যাকে সে ভালবাসতে পারবে না। এই বিয়ে কোনদিন সে মেনে নিতে পারবে না। যদিও আকাশের ভালোবাসা পেয়েই ছাড়বে চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সন্ধ্যা। এই চ্যালেঞ্জ কী জিতবে সে? স্বামীর ভালোবাসা কী পাবে সে?