তাকে গোটা বাংলা চেনে তার গলার জন্য।মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জারের সঞ্চালক হিসেবে বাংলায় সমৃদ্ধ হলেও তিনি প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন রেডিও জকি হিসেবে। ৬ই অগাস্ট ১৯৯৪ অর্থাৎ দীর্ঘ ২৭ বছর। শ্রোতাদের কাছে তিনি ছিলেন সকালম্যান। রেডিও জগতে অনুপ্রেরণার অপর নাম হচ্ছেন মীর।
গত বছর সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ছবি পোস্ট করে রেডিও মির্চি ছাড়ার ঘোষণা করেন মীর। একমাথা কালো চুল, সাদা শার্ট পরা ১৯ বছরের ‘যুবক’ মীর রেডিয়োতে কথা বলছেন শ্রোতাদের সঙ্গে। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন প্রাক্তন সহকর্মী রঞ্জিত মডগাঁওকর। এই ছবিটা পোস্ট করে রেডিও’তে পথ চলায় ইতি টানেন মীর।
মীরের বাবা চেয়েছিলেন ছেলে লেখাপড়া করে নিরাপদ চাকরি করুক। তিনি ছেলেকে বলেছিলেন, “তোর এই এফএম-টেফএম কদ্দিন চলবে”? কিন্তু সেই তখন থেকেই অন্য কিছু করার স্বপ্নই দেখেছিল সেই দিনের সেই তরুণ তরতাজা যুবকটি। স্মৃতিচারণা করে গতবছর মীর জানিয়েছিলেন, “আমার স্পষ্ট মনে আছে আগের দিনের সন্ধ্যার কথা। কী যে এক অমূল্য অনুভূতি বলে বোঝানো কঠিন। আমার বয়স তখন ছিল মাত্র ১৯ বছর। ৬টার সময় আকাশবাণী বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকি। গলা শুকিয়ে আসছিল। চোখ বড় বড় হয়ে গিয়েছিল। আমি আপেক্ষা করছিলাম। কখন লাল বাতি জ্বলবে। সকাল ৭টা। টাইমস এফ এম। মাইক অন, মীর অন! শুরু হল যাত্রাপথ। তারপর থেকে মাইক অন আছে। আর থামেনি।”
কিন্তু থেমেছিল গত বছর। আসলে গত বছরই রেডিও মির্চি ছেড়ে দেন মীর। মির্চিতে সানডে সাসপেন্স-এ যেমন এখনও লেগে রয়েছেন তিনি, তেমনই ইউটিউবে তার গপ্পোমীরের ঠেকও কিন্তু তুমুল জনপ্রিয়। আর এবার ফের নাকি মির্চিতে ফিরছেন মীর বলে শোনা যাচ্ছে! আদৌ কি সত্যি? আসলে বুধবার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেন রেডিও মির্চির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ অগ্নি। যেখানে লেখা হয়েছে ‘সানডে সাসপেন্সে প্রথমবার আসছেন টেনিদা! আর টেনিদার ভূমিকায় রয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক! এই রবিবার! মীর আর সোমকও আছেন!’
আর ব্যাস এই পোস্ট হতেই হুহু করে ধেয়ে এল একের পর এক লাইক কমেন্টের বন্যা। তাহলে কী সত্যিই মীর ফিরছেন? এই বিষয়ে কথার জাদুকর জানিয়েছেন, না তিনি মির্চিতে ফিরছেন না। এটা আগে রেকর্ড করা। তিনি জানিয়েছেন, আমি ২০২২-এর জুন মাসে চাকরি ছেড়েছি। এটা তারও অনেক আগে রেকর্ড করা। ২০২১-এর শেষে। এতদিনে অন-এয়ার হচ্ছে।
View this post on Instagram