স্টার জলসার অনুরাগের ছোঁয়া এমন এক পর্যায়ে আছে এখন যে সিরিয়ালের প্রতিটা পর্ব আর মিস করতে পারছে না দর্শক। সূর্য জেলে আর এদিকে মিশকা একের পর এক প্ল্যান করে চলেছে দীপাকে ফাঁসাতে। দীপা প্রাণপণ চেষ্টা করছে নিজের স্বামীকে জেল থেকে বার করে আনতে। একের পর এক ছদ্মবেশে বদলা নিতে চাইছে মিশকা।
মিশকার হত্যা
আসলে মিশকা সূর্যর স্পা র্ম নিয়ে গর্ভ ধারণ করেছে আর সেটা সত্যি। সেটা সেনগুপ্ত বাড়িতে সে নিজেই গিয়ে ঘোষণা করে এসেছে। এবার সূর্য মিশকাকে ভয় দেখাতে একটা বন্দুক নিয়ে যায় কিন্তু তার খুন করার কোন প্ল্যান ছিল না। সে নিজের কপালেও বন্দুক ঠেকায় যাতে মিশকা কী করে মা হল সেটা সে বলে। কিন্তু মিশকা সেটা বলে না আর সূর্যকে আটকাতে যায়। তাতেই গুলি চলার আওয়াজ হয়। কিন্তু মিশকা মারা যায়নি উপরন্তু সে পালিয়ে যায় আর সেই দোষ এসে পড়ে সূর্যের উপর।
আজকের পর্ব
গত পর্বে দেখা গেছে যে সাধিকা মিশকার কাছে পুজো দিতে গেছে দীপা। কিন্তু দীপার মনে একটাই খটকা লাগছে যে মা কেন তার মুখ দেখাচ্ছে না। অবশেষে দীপার কথা রাখলো মা এবং তার পেছনে বসতে বলল দীপাকে। দীপা কাছে আসতে গেলে আরেকটি লোক তাকে বাধা দেয় এবং বলে মা সব জানে মা জানে যে সে নিজের স্বামীকে মুক্ত করার জন্য এখানে এসেছে। তখন দীপা অবাক হয়। অবশেষে মা তাকে নিদান দেয় স্বামীকে বাঁচাতে তাকে মরতে হবে। দীপা এই শর্তে রাজি হয়ে যায়। এরপরে মা তাকে বলে মায়ের কাছে মাথা নত করতে মা তাকে শান্তির জল দেবে। দীপা যেই মাথা নত করে সেই ফাঁকেই নিজের ছুরি বের করে দীপার ঘাড়ের কাছে গোপ বসাতে যায় মিশকা। তখন তার হাঁচি পায় আর এক্সকিউজ মি বলে ওঠে। আর এতেই সব ফাঁস হয়ে যায় কেরামতি। দীপা আর মিশকার মধ্যে হাতাহাতি হয় আর ছুরি পড়ে যায়। তখন প্রাণে বাঁচতে মিশকা দীপাকে ঠেলে ফেলে পালায়।
এদিকে দেখা যায় সোনা এবং রুপা তাদের বাবা সূর্যের সঙ্গে দেখা করতে চলে গেছে থানায়। থানার অফিসার দুই বাচ্চাকে দেখে প্রচণ্ড রেগে যায় এবং সোনা রুপার কাকাই আর দিদাকে বকতে থাকে যে কেন তারা দুই বাচ্চাকে নিয়ে এল। বাচ্চা দুটো জেদ করতে থাকে যে বাবাকে না নিয়ে তারা বাড়ি যাবে না। এদিকে দীপার সৎ মা নিজের বয়ান বদলে বলে চিৎকার শোনেনি সেদিন সে। তার যুক্তি যদি কারুর গুলি লাগে তাহলে সে চিৎকার করবে না? ঠিক এর মধ্যেই আবার এক চা বিক্রেতা রূপে হাজির মিশকা শোনে যে সূর্যর চার্জশিট রেডি হলে তাকে জেল হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হবে। আর এতে সে ভাবে এমন হলে সূর্য তার থেকে দূরে চলে যাবে। সেখানে দীপা আসে দুই বাচ্চাকে বাড়ি নিয়ে যেতে আর বলে মিশকা এখনও বেঁচে আছে আর তাদেরকে দেখছে।