দীপাকে পাঠাল গোপন ছবি, সূর্যকে পাঠাল চিঠি! ‘তুই ভাল থাকতে পারিস না’, জেল থেকেই আবার নতুন প্ল্যান কষল মিশকা

এখন এক অত্যন্ত নাটকীয় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa)। সূর্য জেল থেকে বাড়ি ফিরে এসেছে এবং তার বদলে মিশকা কোর্টে নিজের ভুল স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে এরপর তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। তবে এতে ক্ষান্ত হয়নি সে একেবারেই। বরং আরো হিংস্র হয়ে ওঠে সে। সেনগুপ্ত বাড়িতে যেখানে পূজোর উৎসবে মেতেছে সবাই সেখানে মিশকা সূর্যকে কাছে পেতে আঁটল আরো এক ফন্দি।

সেনগুপ্ত বাড়িতে পুজো

সূর্যকে নিয়ে দীপা বাড়িতে ফিরে আসার পরে বাড়িতে দীপার প্রথম পুজো এটা। তাই লাবণ্য সেনগুপ্ত দীপাকে একটা উপহার দেয় আর সেটা হল চাবি। এবার লাবণ্য সেনগুপ্ত সংসারের দায়-দায়িত্ব থেকে মুক্ত হতে চায় এবং তাই বাড়ির বড় বৌমাকে সেই দায়িত্ব দিল। তখন দীপা বলে সে তার বোন ঊর্মির সঙ্গে সংসারের সমস্ত দায়িত্ব ভাগাভাগি করে নেবে যে তার ছোট জা।

আজকের পর্বে

সেনগুপ্ত বাড়িতে শুরু হয়েছে পুজো। মহ ধুমধামে ষষ্ঠীর বোধন হলো। বাড়ির সকলে এক জায়গায় হয়েছে এবং কেউ ঢাক বাজাচ্ছে কেউ আবার একে অপরের সঙ্গে খুনসুটি করছে। ওদিকে জেলের মধ্যে মিশকা একা থাকতে পারছে না। সে আবার নিজের হাত করা পুলিশ কর্মীকে দিয়ে সূর্যকে একটা চিঠি পাঠালো এবং দীপাকে পাঠালো কিছু ছবি। সেই ছবি দেখে এবং চিঠিটি পড়ে চমকে গেল সবাই। এরপরেই দীপার মনে আবার নতুন প্রশ্ন উঠলো যে বাচ্চাটি কীভাবে এলো মিশকার পেটে।

ওদিকে জেলের মধ্যে তদন্তের জন্য পুলিশ অফিসার মিশকাকে তার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে। সে সেনগুপ্ত বাড়ির ঠিকানা দেয়। পুলিশ অফিসার তাকে প্রচন্ড বকাবকি করে এবং তখন সে বলে স্বামীর বাড়িই তো স্ত্রীর বাড়ি হয়। পুলিশ অফিসার রেগে যায় এবং বলে তর উপর এতগুলো ধারা রয়েছে, সে জেলে রয়েছে তবুও সে এত বড় বড় কথা বলছে কেন? মিশকা এর উত্তরে বলে যে এর কারণ তার পেটে সূর্যের সন্তান রয়েছে। আর যদি সূর্য এতে যুক্ত না থাকতো তাহলে সে মা হলো কি করে? এই প্রশ্নটা ভাবিয়ে তোলে পুলিশ অফিসারকেও।

ওদিকে বাড়িতে উৎসবের মাঝে দীপা এবং সূর্যের জীবনে আবার একটা ঝড় আসছে এটা তারা বুঝতে পারে। দিবা ঠিক করে এবার সে বের করবে খুঁজে যেভাবেই হোক যে কিভাবে এই বাচ্চাটি এলো। এর মধ্যেই নিজের হাত করা পুলিশ কর্মীকে দিয়ে মিশকা আরো একটা বড় প্ল্যান করে। এবার দেখার বিষয় পুজোর মধ্যে তার এই প্ল্যানটা সফল হয় কিনা।