কারা বহন করবেন প্রয়াত লতার সাঙ্গীতিক উত্তরাধিকার?

ঊষা, আশা, মীনা এবং হৃদয়নাথ— এই চার মঙ্গেশকর ভাই-বোনের দেখাশোনার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে দিয়েছিলেন সুরেলা কণ্ঠের অধিকারী এবং সদ্য প্রয়াত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর। আজও তাঁদের জাদু মজিয়ে রেখেছে দেশ-বিদেশের সঙ্গীতপ্রেমীর মন। বসন্তের দোরগোড়ায় লতাকে হারানোর শোকে যখন গোটা দেশ ডুবে রয়েছে, তখন দেখে নেওয়া যাক, কারা বহন করছেন লতার সাঙ্গীতিক উত্তরাধিকার।

জানা গেছে যে মঙ্গেশকর পরিবারের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় প্রজন্মের সদস্যদের হাতেই রয়েছে মঙ্গেশকর ভাইবোনের সাঙ্গীতিক উত্তরাধিকারকে সার্থক করার দায়িত্ব, কারণ ধারা বয় শেষ অবধি। হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের কন্যা রাধা মঙ্গেশকরের হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হতেন পিসি লতা। মাত্র সাত বছর বয়সেই রাধা প্রকাশ্য মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশনা করেছিলেন। ২০০৯ সালে প্রকাশ পায় রাধার একক হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অ্যালবাম ‘নাভ মাঝে শামী’। হিন্দি এবং মরাঠি গানের পাশাপাশি তিনি আঞ্চলিক গানও শ্রোতাদের জন্যে গেয়েছেন। এমনকি বাংলাতেও গান গেয়েছেন লতার ভাইঝি।এমনকি সব ঠিক থাকলে পরে সঙ্গীত পরিচালনা করতে পারেন তিনি।

আশা ভোঁসলের পুত্র আনন্দ ভোঁসলের সন্তান জনাই ভোঁসলেও গানের জগতে নিজেকে মেলে ধরছেন। একজন উঠতি সঙ্গীত শিল্পী হলেও ক্রমেই নিজের জাত প্রতিভার পরিচয় দিচ্ছেন। ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে তৈরি করা ভারতের প্রথম গানের দল ‘সিক্স প্যাকের’ সঙ্গে কাজ করে গানের জগতে তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে। ঠাকুমার সঙ্গে কাটানো স্মৃতি তাঁর কাছে খুব প্রিয়।