সূর্য-দীপার লন্ডনের পাসপোর্ট মিশকার হাতে! দীপার মা বলে দিল সব! সোনা-রূপা আর দীপাকে পার্সেল করে সূর্যকে আটকে দেওয়ার ফন্দি
মিশকা একের পর এক প্ল্যান করে চলেছে যে কিভাবে দীপাকে পরাস্ত করে সূর্যকে নিজের কাছে আনবে সে। তাই এবার সূর্যর অজান্তে তার স্পার্ম নিয়ে গর্ভবতী হয়ে গেছে সে। তবে এতে সেনগুপ্ত পরিবার তাকে স্বীকার করে নেয় এবং তার সন্তানকে যথারীতি সম্মান এবং মর্যাদা দেওয়ার কথা দাবি করে। দীপা নিজে তাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনে যাতে তার সন্তান অনাদরে বড় না হয়। তবে মিশকা হার মানে না।
সূর্যর সিদ্ধান্ত
নিজের বাড়িতে সূর্য দীপা সোনা রুপা কেউ স্বাধীন ভাবে থাকতে যাচ্ছে না শুধুমাত্র মিশকার জন্য। তাই এবার সূর্য বাধ্য হয়ে একটা কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়। লন্ডনে ডাক্তারি প্র্যাকটিস করার সুযোগ পেয়েছে এবং তাই নিজের পরিবারকে নিয়ে এসে সেখানে চলে যেতে চায়। তবে এই কাজটা শেষ সন্তর্পনে করতে চায় যাতে মিশকা তাকে কোনও বাধা দিতে না পারে লন্ডনে যাওয়ার পথে। দীপার কষ্ট হলেও সে নিজের সন্তানদের কথা ভেবে সেটা মেনে নেয়। তারপরেই সূর্য আর দীপার হাবভাব দেখে সন্দেহ হয় মিশকার।
অনুরাগের ছোঁয়া আজকের পর্ব
শুরুতেই দেখা যায় দীপার বাপেরবাড়িতে সোনা রুপার জন্য শীতের পোশাক বের করে রেখেছিল রত্না সেগুলো দেখে ফেলে মিশকা। তবে ভুলভাল বুঝিয়ে মিশকার মুখ বন্ধ করে দিল রত্না। দীপা বুঝতে পারে মিশকা কিছু একটা সন্দেহ করেছে বলেই সেখানে চলে এসেছে সে। তাই সে সময় নষ্ট না করে মিশকার কথায় রাজি হয় এবং আমার নিজের শশুর বাড়ি ফিরে যায়। দীপাকে সেনগুপ্ত পরিবারে ফিরতে দেখে অবাক হয়ে যায় সবাই।
আর এর মধ্যেই ঘটে বড় কান্ড। সূর্য দীপা এবং সোনা রুপার পাসপোর্ট নিয়ে পার্সেল আসে এবং সেগুলো মিশকা দীপার হাত থেকে কেড়ে নেয়। সে খুলে দেখে পাসপোর্ট ভিসা আর সেগুলো দেখে প্রশ্ন করে যে এগুলো কেন? তবে তারা কোথায় যাচ্ছে বা কখন যাচ্ছে সেগুলো জানতে চাইলেও উত্তর পায় না মিশকা। উপরন্তু সবাই তাকে বলতে শুরু করে যে সেখানে থাকতে চেয়েছিল এবং নিজের সন্তানকে এখানেই রাখতে চেয়েছিল ঠিক তার কথাই সবাই মেনে নিয়েছে কিন্তু এখন দীপা আর সূর্য কোথায় যাচ্ছে সেটা সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত এবং সেখানে সে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে মিশকা মনে মনে প্ল্যান করে এতদূরে এসে এসে ব্যর্থ হতে পারেনা তাই সূর্যকে যেভাবেই হোক আটকাতে হবে।
নিজের ঘরে এসে মিশকা কাউকে একটা ফোন করে এবং বলে তার ফরেন ট্রিপ এর ব্যবস্থা করতে হবে। তবে ওপার থেকে তাকে না বলে দেয় কারণ তার পুলিশ রেকর্ড আছে তাই বাধা পাবে সে। এবার তার কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে আসে দীপার মা রত্না। সে এসে আসল ভুলটা করে বসে। তাকে মিশকা অনেক ছলে বলে জিজ্ঞাসা করে কোথায় যাচ্ছে তারা এবং কখন ফ্লাইট। তখন সে বলে তুমি অনামুখো আমি তোমাকে বলে দেবো আর তুমি তখন ব্যাগরা দেবে। তবে এরপরেই কথায় কথায় মুখ ফসকে তার বেরিয়ে যায় যে রাত বারোটায় ফ্লাইট 2 নম্বর গেটে। মিশকা যেন হাতে চাঁদ পেল।