বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্ত যতগুলি ধারাবাহিক দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয় তারমধ্যে অন্যতম হল কার কাছে কই মনের কথা (Kar Kachhe Koi Moner Kotha) । এই ধারাবাহিকটি এই মুহূর্তে বাঙালি দর্শকদের কাছে অন্যতম হট ফেভারিট ধারাবাহিক। আসলে ঝিমিয়ে পড়া গল্প হলেও গল্পের মধ্যে উত্তেজনার অভাব নেই এই ধারাবাহিকে।
উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকে প্রাথমিক পর্যায় বলা হয়েছিল পাঁচজন বন্ধুর গল্প দেখানো হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে পাঁচজন নয় চারজন বন্ধুর গল্প দেখানো হলো এবং পাঁচজন বন্ধুর একজন ভিলেনে পরিণত হল। আর সেই ভিলেন হয়ে উঠল ধারাবাহিকের নায়িকার জা এবং তার জীবনের অন্যতম বড় শত্রু।
আর এই শত্রু অর্থাৎ শিমুলের প্রাক্তন দেওর পলাশের বউ প্রতীক্ষা তছনছ করে দিয়েছে শিমুলের জীবন। এই মুহূর্তে প্রতীক্ষার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরাগকে বি’ষ দেওয়ার অভিযোগে ছেলে বন্দি শিমুল। এমনকি কোর্টে পর্যন্ত উঠেছে সেই কেস। দুই পক্ষই উকিল ঠিক করে ফেলেছে।
আর এবার নিজেদের উকিলের কাছে ধরা পড়ে গেল প্রতীক্ষা। শিমুল নয় আসল অপরাধী যে অন্য কেউ এবং সে যে পরিবারের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে সেটাই জেনে গেছে প্রতীক্ষা পলাশ পরাগদের পক্ষে উকিল অনির্বাণ সেন। এমনকি তিনি প্রায় পরাগ এবং পলাশের সামনে হাটে হাঁড়ি ভেঙেই দিয়েছেন।
অনির্বানের কথা শুনে হাত-পা কাঁপতে শুরু করে দেয় প্রতীক্ষার। অদ্ভুত রকম মুখ চোখ বেঁকিয়ে সে নিজের আশঙ্কা, ভয়ের কথা অনির্বাণকে বললে রীতিমতো তির্যক দৃষ্টিতে অনির্বাণ প্রতীক্ষাকে প্রশ্ন করে অপরাধ টা কি আপনি করেছেন যে এত ভয় পাচ্ছেন? আর অনির্বাণের কথা শুনে ভয় কুঁকড়ে যায় প্রতীক্ষা। আর প্রতীক্ষার এই অদ্ভুত রকম মুখ চোখ ব্যাঁকানো দেখে দর্শকরা তাকে কটাক্ষ করে ব্যাঁকা মুখী বলছেন।