পুতুলের কথা ভেবে শ্বশুরবাড়িতে ফেরা নাকি আত্মসম্মানে বলীয়ান হয়ে বাড়ি ছাড়া! কী করা উচিৎ শিমুলের?

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) বিপদের মুখে শিমুল। একের পর এক সমস্যা শুরু হয়েছে তার জীবনে। নিজের স্বামীকে বিষ দেবার অপরাধেই অপরাধী আজ সে। বিনা দোষের বারবার শাস্তির মুখে পড়েছে শিমুল। কোনরকম সম্পর্ক না থাকার শর্তেও শতদ্রুকে নিয়ে তাকে বারবার শুনতে হয়েছে কু’মন্তব্য। স্বামীর অত্যাচার সহ্য না করে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত দেবার পর সে পাশে পায়নি কাউকেই।

তবে এখন কি করণীয় তার? যেই মানুষটা তাকে ভালোবাসে তার সে পুতুলদি আজ মৃত্যুশয্যায়। তার কি উচিত জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর পুতুলদির কাছে গিয়ে তাকে সুস্থ করে তোলা নাকি নিজের আত্মসম্মান বজায় রেখে তার শশুরবাড়ি দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া? কি মনে হয় আপনাদের? যে স্বামী তাকে বারবার অপমান করেছে তাকে কষ্ট দিতে একবারও কুণ্ঠিত বোধ করেনি তার কি উচিত সেই বাড়িতে ফেরা?

বিয়ের পর শাশুড়ি সর্বদাই কষ্ট দিয়েছেন তাকে। অপমান করেছে সকলেই, তবুও সেই শাশুড়ির মন জয় করেছে শিমুল। প্রতীক্ষা, পলাশ কেউই তাকে একবারের জন্যও আপন করে নেয়নি। শুধু তাই নয়, বাপের বাড়ির সবাই এমনকি শিমুলের নিজের মাও পর করে দিয়েছেন তার মেয়েকে। মেয়ের চরম বিপদের দিনেও মেয়ে কেমন আছে জানতে চাননি তিনি। শিমুলের আপন বলতে সর্বদাই পাশে পেয়েছে তার পাড়ার বান্ধবীদের এবং শতদ্রুকে। যারা সব কিছুর পরও হাত ছাড়েনি তার। তবে আর একজন মানুষ আছে যে প্রতিনিয়ত তাকে ভালোবেসেছে, সমর্থন করেছে, কখনও তাকে কষ্ট দেননি, ভুল বোঝেনি তাকে। তিনিই হলেন শিমুলের পুতুল দি।

আজ সে শয্যাশায়ী। মৃত্যু তার দরজায় কড়া নাড়ছে প্রতিনিয়ত এখন কি শিমুলের উচিত এই মানুষটিকে একবার দেখতে আসা, তাকে সুস্থ করা? প্রশ্ন জাগছে হাজার দর্শকদের মনে। তবে তার উত্তর মিলবে আসন্ন পর্বে, জার অপেক্ষায় আছেন কার কাছে কই মনের কথার অনুরাগীরা।