জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) চলছে ধামাকা সপ্তাহ। শিমুলের জীবনে পরাগ, পলাশ আর প্রতীক্ষা তুলেছে ঝড়। তবে শুরু তারাই নয় এবার শিমুলকে অপমান করতে ছাড়েনি তার শাশুড়িও। যে শাশুড়িকে শিমুল মায়ের আসনে বসিয়ে ছিল তিনিই এখন মরিয়া শিমুলকে দোষী সাব্যস্ত করতে। ছেলেকে বলেছেন যত টাকা লাগবে তিনি দেবেন কিন্তু শিমুলকে শাস্তি পেতেই হবে।
জেলেই দিন করছে তার। প্রথম শুনানি হয়েছে ইতিমধ্যেই তার শাশুড়ি তার বিষয়ে ভালো ভালো কথা বললেও তিনি এও বলেছেন তিনি মনে করেন শিমুলই এই কাজটি করেছে। ওদিকে অসুস্থ পুতুলদি। ডাক্তার জানিয়েছে দ্রুত চিকিৎসা না হলে তার পরিণতি খারাপ হতে পারে। যদিও শতদ্রু, পরাগের কাকিমা, তুতুল এবং শিমুলের বান্ধবীরা কেউই ছাড়েনি শিমুলের হাত।
সবাই তাকে বলেছে জীবনে এগিয়ে যেতে, লড়তে। জীবনটা যে সহজ হয়না তার ধারণা হয়ে গেছে শিমুলের, তবে এবার সময় ভয় পেয়ে পিছিয়ে আসার নয়, সমস্যার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলার। জীবন তো একটাই, সমস্যাও আসবে প্রতি পদে কিন্তু হারলে ছবি না। শিমুলও ঠিক করেছে আর মুখ বুজে সহ্য করবে না অপমান নতুন করে শুরু করবে তার জীবন। আত্মসম্মান নিয়ে, নিজের জন্য, নিজের পরিচয়ে বাঁচবে। প্রমাণ করবে একটা মেয়ের পরিচয় তার বাবা বা স্বামীর পরিচয়ই হয়না, সে নিজেই নিজের পরিচয় করতে গড়ে তুলতে সক্ষম।
ইতিমধ্যেই জি বাংলায় সম্প্রচারিত হয়েছে কার কাছে কই মনের কথার নতুন প্রোমো। প্রোমোটি মুক্তি পাওয়ার পরই শুরু হয়েছে শোরগোল। প্রোমোটিতে দেখা যাচ্ছে শিমুল জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরেছে পরাগের বাড়ি। মধুবালা দেবী তাকে বরণ করে নিচ্ছে কিন্তু শিমুল বরণ থামিয়ে বলে সে আর থাকতে চায়না এই বাড়িতে। সে চলে যাবে, ব্যাগ নিয়ে আসতেই পরাগ তাকে হাত ধরে থামিয়ে বলে তাকে আর একটা সুযোগ দিতে।
সেই কথা শুনে ব্যাগ পরে যায় শিমুলের। তবে কি থেকে যাবে শিমুল? এত কিছুর পরও পরাগকে আর একটা সুযোগ দেবে সে? নাকি তার আত্মমর্যাদা, মান সম্মান বজায় রেখে বাড়ি থেকে চলে যাবে সারাজীবনের মতো। কি মনে হয় আপনাদের? কি করা উচিৎ এখন শিমুলের? কি করবে সে, কি সিদ্ধান্ত নেবে জীবনে? অপেক্ষায় রয়েছে কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের অনুরাগীরা।