বাংলার ‘রেডিওম্যান’ বললেই তাঁর নাম মনে আসে তিনি হলেন মীর আফসার আলী তথা মীর (Mir)। তাঁর কন্ঠ শুনেই একসময় শুরু হত সকাল। রবিবার মানেই ‘সানডে সাসপেন্স’ ও আরজে মীরের কন্ঠে গায়ে কাঁটা দেওয়া গল্প। শত শত উঠতি আরজের আইডল তিনি। তাঁকে আইকন মেনেই রেডিওরুমের স্বপ্ন দ্যাখেন নতুন প্রজন্ম। সেই মীর এখন আর কলকাতার নামকরা রেডিও স্টেশনের RJ নন। কিছুদিন আগেই মিরচি ছেড়েছেন তিনি। দীর্ঘ আঠাশ বছরের লঙ টার্ম কেরিয়ারে একটু বিরতি। আবার নতুন করে শুরু করেছেন পথ চলা।
রেডিওস্টেশনের আরজে রূপে ২৮ বছর পেরিয়ে গিয়েছে চোখের নিমেষেই। একটানা জীবনে বেশ ক্লান্ত মীর আফসার আলী। কেরিয়ারের ২৫ বছর পূর্তির সময় থেকেই চাকরি ছাড়ার পরিকল্পনা করেন মীর। ভেবেছিলেন, চাকরির বয়স ৩০ হলেই নতুন কিছু ভাববেন। যদিও এরমধ্যেই হাঁপিয়ে উঠেছিলেন শিল্পী। বছর তিরিশের আগেই নিয়ে ফেললেন বড়সড় সিদ্ধান্ত। ভালো মাস মাইনের সিকিওর্ড জব ছেড়ে স্বেচ্ছা বেকারত্ব নিলেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মীরের রেডিও ছাড়ার খবর শুনে মনখারাপ হয় ভক্তদের। কিন্তু তাঁর পরিবারের রিঅ্যাকশন কেমন ছিল? সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে মীর বলেন, ৩০ জুন শেষ কাজের দিন ছিল তাঁর। ১ জুলাই তিনি যখন মায়ের সামনে খেতে বসেছেন, তাঁর মা মীরের মুখের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, “এবার থেকে কী খাবি?” মায়ের কথায় মীর বলেন “খাবার থালায় সার্ভ করা আছে যেটা সেটাই খাব।আর ভবিষ্যতেও সেটাই খাব…।”
আরো পড়ুন: শুধু নীলকেই ভালোবাসি! বাপির কাছে নীলকে বিয়ে করতে চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ল মেঘ
মায়ের কথা শুনে মীর সেদিন বুঝেছিলেন, যতই বড় হয়ে যাই না কেন, মা বাবার ইনসিকিউরিটি যাওয়ার নয়। মীর এও জানান, চাকরি ছাড়ার পর অপর একটি রেডিও স্টেশন থেকে মর্নিং শোয়ের অফার পেয়েছিলেন তিনি। যদিও প্রথমেই তা নাকচ করে দেন। কারণ, আঠাশ বছর যে কাজ করে ক্লান্ত হয়ে তিনি যে চাকরি ছেড়েছেন, সেই কাজ আবার করতে যাবেন না বলেই স্থির করেন তিনি। যদিও ইতোমধ্যেই নতুন কামব্যাক করেছেন রেডিওম্যান।
View this post on Instagram
গল্প শোনাতে বরাবরই ভালোবাসেন মীর। তাই চাকরি ছাড়ার পর ঠিক করেন, শ্রোতাদের গুছিয়ে গল্প শোনাবেন। চালু করেন নিজস্ব ভেনচার ‘গল্প মীরের ঠেক’। মীরের কথায় তিনি পডকাস্টের পথ বেছে নিয়েছেন। এই পডকাস্টের ভবিষ্যত বিশাল। মীরের স্পষ্ট দাবি, কাজ ভালো হলে মানুষ শুনবেন। আর কনটেন্ট ভালো না লাগলে আনফলো করে বেরিয়ে যাবেন। তাই শ্রোতাদের ভালো লাগার জায়গাটা তৈরি করাই হল আসল চ্যালেঞ্জ।