ছোট করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chowwa) ধারাবাহিকের নায়িকা দীপার বাড়িতে। অর্জুন, তিস্তা,ভিক্টর সবাই মিলে একত্র হয়েছে দীপার ভাড়া বাড়িতে। কিন্তু তিস্তা কিছুতেই দীপাকে সহ্য করতে পারছে না। তার মনে হয় আজ সে যে বধূ নির্যাতনের শিকার তার জন্য একমাত্র দায়ী দীপা। দীপা না তৎপর হলে ভিক্টরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে আর একবার ভাবার সুযোগ পেতে পারত সে। সেই রাগ থেকে দীপার বাড়ি বয়ে এসে তাকে কথা শোনাতে শুরু করেছে সে। অর্জুন দীপার সম্পর্ক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তিস্তা।
তিস্তার এহেন ব্যবহার দেখে প্রতিবাদ করে অর্জুন। দীপা তার বৌদিদি হলেও, এই মুহূর্তে সে তার দাদার স্ত্রী নয়। তাই চাইলেই দীপাকে যা ইচ্ছে তারা বলতে পারেনা। আসলে, দীপার শাড়িতে মাইক্রোফোন লাগানো। তার এবং তার বাড়ির লোকের সব কথা শুনতে পাচ্ছে ভিক্টর। তাই মন চাইলেও বাড়ি বিক্রির কথা দীপাকে বলতে পারছে না তিস্তা। জয়কে সঙ্গে নিয়ে সেনগুপ্ত বাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ভিক্টর।
এসবের মধ্যে, লাবণ্য দীপাকে ঘরে ডেকে নিয়ে যায়।জিজ্ঞেস করে সত্যি অর্জুনের জন্য দীপার মনে কোনো অনুভূতি আছে কিনা। কারণ মনে মনে এখনও দীপা আর সূর্যকে আলাদা ভাবতে পারেন না। দীপা জানায়, তার কাছে ভালোবাসা মানে এই মুহূর্তে দুই মেয়ে। লাবণ্য দীপার এসব কথা আড়াল থেকে শোনে প্রবীর। লাবণ্যকে প্রবীর জানায়, তিনি চান দীপা নিজের জীবনটা ফের নতুন করে শুরু করুক। কারণ তার বড় ছেলে সূর্য, দীপার জীবন নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই করেনি।
এদিকে, প্রবীরের মতো দীপার দুই মেয়ে সোনা-রূপাও চায় তাদের মা যেন আবার আগের মতো হাসিখুশি থাকতে শুরু করুক। আর মায়ের পার্টনার অর্জুন ছাড়া আর কেউ হতেই পারেনা। তারা তাদের মনের কথা মাকে বলে। অর্জুনকে তারা তাদের ড্যাডি হিসেবে দেখতে চায়। সোনা-রূপার মুখে এই কথা শুনে দীপার কষ্ট বহুগুণ বেড়ে যায়। সেই রাতে অর্জুনের বাড়ি এসে দীপা অর্জুনকে তার বাড়ি আসতে বারণ করে। কারণ সোনা-রূপা দিনে দিনে অর্জুনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, ইরা যে সাধারণ কেউ না বুঝতে পারছে সূর্য। ইরা বলে কেউ সমাজ মাধ্যমে নেই। ভ্লগিং কোনো ভিডিও-ও কোনও মাধ্যমে ছাড়া নয়। ইরার কোনও অস্তিত্ব সমাজ মাধ্যমে নেই। তার মানে কি কেউ তাকে সূর্যের খোঁজে পাঠিয়েছে?