মনের কথায় ধুমতানানা পর্ব! বিয়ের মণ্ডপের সবার সামনে পলাশকে সপাটে চ’ড় মধুবালার! বেশ হয়েছে কটাক্ষ নেটিজেনদের

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথায় (Kar Kache Koi Moner Kotha) শুরু হয়ে গেছে পুতুলের বিয়ে। বিয়ের কনের বেশে শুভদৃষ্টি হচ্ছে পুতুল এবং তীর্থঙ্করের কিন্তু মন তবুও অশান্ত তার, শিমুলের কথা ভেবে। কেন এমন ব্যবহার করছে শিমুল? ওদিকে বাড়িতে কাউকে কিছু বলতে পারছে না শিমুল পরাগের অ্যাকসিডেন্টে কথা, পাছে পুতুলের বিয়ে ভেঙে যায়! শিমুল এবং তার বান্ধবীরা চলে এসেছে হাসপাতালে প্রাক্তন স্ত্রী হিসেবে সে সই করেছে বন্ড পেপারে।

বিপাশাও পলাশকে জানিয়েছে সব ঘটনা, বলেছে সত্তর সে যেন কাউকে কিছু না বলে চলে আসে। ডাক্তারও জানিয়েছেন তিনি চেষ্টা করছেন পরাগকে বাঁচানোর। কিন্তু মন অশান্ত শিমুলের। সে খালি খালি ভাবছে পরাগ ঠিক হয়ে যাবে কিনা। তখন সুচরিতা তাকে বলে শান্ত হতে। সেই উত্তরে শিমুল বলে সে বুঝতে পারছে না সে কি করবে। এতদিন ধরে পরাগ তাকে বলেছিল সে শুধরে গেছে কিন্তু সে বিশ্বাস করেনি কিন্তু এখন তার মনে হচ্ছে সত্যিই পরাগ ভালো মানুষ হয়ে গেছে।

তখন সুচরিতা তাকে জিজ্ঞাসা করে এখন কি সে আবার ভাবছে পরাগের সঙ্গে সংসার শুরু করার কথা? সেই উত্তরে শিমুল বলে না সে সেটা চায়না তবে যে ভালো হয়েছে তাকে ভালো বলতে ক্ষতি কি। তখন বিপাশা তাকে বলে যে সে যেন এটা না ভুলে যায় যে শতদ্রু তাকে কতটা ভালোবাসে আর তার জন্য কি কি করেছে তখন শীর্ষাও বলে যে এখনও শতদ্রুকে কিছু বলা হয়তো সে যদি রেগে যায় তখন শিমুল বলে আমরা দুটি আলাদা মানুষ তাই ও আমায় কিছু বলতে পারে না। তখন তারা ভাবতে থাকে পুতুলের বিয়ে মিটল কিনা।

ওদিকে পলাশ গিয়ে সকলকে বলে বিয়ে বন্ধ করতে আর মধুবালা দেবীকে বলে যে তার ছেলে হাসপাতালে ভর্তি আর সে মেয়ে এখনও মেয়ের বিয়ে দিচ্ছে আর তার বউমা সকলের থেকে সবটা লুকিয়ে রেখেছে। সেই শুনেই জ্ঞান হারায় মধুবালা দেবী। সকলেই বুঝতে পারে কেন শিমুল এমন ব্যবহার করছিল। তখন তীর্থঙ্করের বউদি খুশি হয়ে যায় এবং তীর্থঙ্করকে বলে চলে আসতে এই বিয়ে হবে না। তখন সকলেই বলে কেন হবে না, বিয়ের সঙ্গে পরাগের অ্যাক্সিডেন্টের কি সম্পর্ক? তখন পলাশ বলে বিয়ে বন্ধ করতে।

আরো পড়ুন: চাবিতে রয়েছে সূর্যের সব প্রশ্নের উত্তর! রহস্যময়ী ইরার পোল খুলবে! অনুরাগের ছোঁয়ায় আসছে টান টান পর্বে!

সেই কথা শুনেই মধুবালা দেবী তাকে সপাটে চ’ড় মারেন এবং বলে বিয়ে হবে আমার বউমা সকাল থেকে হাসপাতালে পরে আছে এই পুতুলকে সুখী দেখবে বলে আর সেটাই হবে। আর তিনি এও বলে হয়তো তার পলাশই তার বউয়ের জেলে থাকার কারণে পরাগের অ্যাক্সিডেন্ট করিয়েছে। তখন পুতুল কাঁদতে থাকলে তীর্থঙ্করও তার বউদিকে জানিয়ে দেয় যে সে বিয়ে করবে আর তার বউদির এই বিষয়ে বলার কোনও অধিকার নেই। তারপরই সিঁদুর পরিয়ে দেয় তীর্থঙ্কর শিমুলকে। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের কি মোড় আসতে চলেছে শিমুলের জীবনে?