জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ইচ্ছে পুতুলে (Icche Putul) হাসপাতালে রক্ত দিয়ে ইতিমধ্যেই ফিরে এসেছে মেঘ এবং নীল। কাকাই তারপর সকলের সঙ্গেই আলাপ করিয়ে দেয় মেঘের। সকলেই মেঘ এবং নীলকে আসে অভিনন্দন জানায়। মেঘকে বসিয়ে নিল চলে যায় মীনাক্ষীর কাছে। মীনাক্ষী নীলকে দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করে মেঘকে কি আজ রক্ত দিতেই হত? তখন নীলও বলে “জানোই তো মা কেমন। ও একবার কিছু করতে চাইলে সেটা ও করবেই, ওকে কেউ আটকাতে পারবে না। তখন মীনাক্ষীও বলেন “হ্যাঁ এটা সত্যি মেঘ খুব জেদী।”
তখন নীল বলে “হ্যাঁ তবে মেঘ যা করেছে একদিকে ঠিকই করেছে কারণ ময়ূরী নাহলে হয়তো আমাদের অনুষ্ঠান নষ্ট করতে আবার ওকে ডাকতো। তখন মীনাক্ষী দেবী বলেন হ্যাঁ ময়ূরী সত্যি তাই করত। তবে তিনি নীলকে বলেন প্রত্যেক মানুষ জীবনে দ্বিতীয় সুযোগ পায়না। তাই একবার সেটাকে কাজে লাগিও। তিনি এও বলেন “আমি আর সেঁজুতি তো ময়ূরীর কথায় সবসময় মেঘকে ভুল বুঝেছি কিন্তু তুমি তো ওকে ভালোবাসতে কিন্তু তার শর্তেও তুমি ওকে বারবার অপমান করেছে, সন্দেহ করেছ খারাপ কথা বলেছ। এবার ও তোমায় ভালোবাসে বলেই আর একটা সুযোগ দিয়েছে সেটার মান রেখো।”
সেটা শুনে নীলও বলে এবার আর সে মেঘের কোনও রকম অযত্ন হতে দেবে না। তখন মীনাক্ষী বলেন এবার তার আর তার স্বামীর ডিভোর্স হয়ে যাবে কারণ আজ ছেলের বৌভাতে তিনি আসেননি। সেটা শুনে নীল হাসতে হাসতে চলে যায়। তখন ঠাম্মি আসে মেঘকে বলে পরের বছরই যেন তিনি একটা নাতির ঘরে নাতি বা নাতনি দেখতে পান। সেটা শুনে খুব লজ্জা পেয়ে যায় মেঘ তখন নীল বলে যে না এবছর নয়, দু-তিন বছর পর। তখন মেঘ তাকে বলে চুপ করতে।
এইভাবে হাসি মজা করতে থাকে তিনজনে ঠাম্মি তাদের বলেন তার বয়স হয়েছে তিনি বেশি দিন থাকবেন না তখন মেঘ তাকে বারণ করে এসব কথা বলতে। তখনই জিষ্ণু গুরুজীকে নিয়ে চলে সেখানে। গুরুজী দেখে খুব খুশি সকলে। মেঘ তাকে প্রণাম করতে গেলে তিনি বলে তিনি জোড়ায় প্রণাম নেবেন তখনই নীল চলে আসে আর তারা দুজনে একসঙ্গে গুরুজীকে প্রণাম করেন। সেটা দেখে তিনি নীলকে জিজ্ঞাসা করেন নীল প্রণামে বিশ্বাস করে কিনা? তখন নীল জানায় সে প্রণাম বিশ্বাস করে না তবে তার মতো সম্মানীয় একজন মানুষকে দেখে মাথা এমনই নত হয়ে যায়।
সেটা শুনে খুব খুশি হন গুরুজী। তারপর তিনি বলেন অনেকেই আছে যারা বিয়ের পর গান করে না মেঘও কি তাই করবে? তখন মেঘ বলে না তাই হবে না সে গানটা চালিয়ে যাবে কারণ গান ছাড়া তার কোনও অস্তিত্ব নেই। তখন ঠাম্মিও বলেন মেঘ দিদিভাই কোনও ভাবেই তার গান বন্ধ করবে না আমি আপনাকে বলছে। তখন গুরুজীও বলেন আপনি ওকে দিদিভাই ডাকছেন সেটা দেখেই আমি বুঝেছি আপনি ওকে কত ভালোবাসেন। তখন জিষ্ণু গিনির সঙ্গে তার দেখা করার চেষ্টা করতে থাকে আর মেঘ তাকে দেখে বলে জিষ্ণু অনেক কষ্টে সাহস করেছে তাই তিনি যেন দেখা করে যান সেটা শুনেই রেগে যায় জিষ্ণু।
আরো পড়ুন:দুঃস্থ পথশিশুদের জীবনে শিক্ষার আলো ছড়াতে বিয়ে করেননি তিনি! অমরেশের দাদাগিরিতে মুগ্ধ মহারাজ
ওদিকে ময়ূরী হাসপাতালে শুয়ে ভাবতে থাকে যে মেঘ তার ওপর কথা বলত না সেই মেঘ তাকে এইভাবে বলছে। আজ তার এই অবস্থা আর মেঘ আনন্দে দিন কাটাচ্ছে। তার বৌভাত হচ্ছে, ফুলসজ্জা হবে। এটা ভেবেই রেগে যায় ময়ূরী। সে হাসপাতাল থেকে পালানোর জন্য তার অক্সিজেন মাস্ক সবই খুলে ফেলে কিন্তু তখনই নার্স চলে আসেন এবং বলেন ময়ূরী এখন থেকে পালাতে করবে না কারণ বাইরে অনেক পুলিশ আছে তাই সব চেষ্টা যেন তিনি না করেন। সেটা শুনেই আরও রেগে যায় ময়ূরী। তাহলে কি মনে হয় আপনাদের কি করবে এখন ময়ূরী?