Mithijhora Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা (Mithijhora)। দিনে দিনে দর্শকদের মধ্যে বাড়ছে ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা। প্রথমে রাত সাড়ে ৯টায় অনুরাগের ছোঁয়ার বিপরীতে ধারাবাহিকটি বিশেষ ভালো ফলাফল করতে না পারলেও সময় পরিবর্তনের কারণে বদলে গেছে ধারাবাহিকের ভাগ্য। এখন পর পর বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় রাত দশটার স্লটে রাজত্ব করছে মিঠিঝোরা। বর্তমানে পর্দাতেও তিন বোনের কাহিনী দারুণ জমে উঠেছে।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা গেছে নীলুকে শৌর্য্য অনেক কথা শুনিয়েছে রাইকে অপমান করার জন্য। সেটা শুনে নীলুর মনে হয়েছে রাই আবার তাদের মধ্যে চলে এসেছে। সেই কথা ভেবেই রাইয়ের ওপর আরও রেগে যায় নীলু। এদিকে রাইয়ের অফিস ছাড়ার পর শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অনির্বাণ। সে কথা জানতে পেরেই রাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে চলে আসে শর্মি। সে রাইকে পরিস্থিতি বুঝানোর চেষ্টা করতে থাকে।
মিঠিঝোরা আজকের পর্ব ২১ মে (Mithijhora Today Episode 21 May)
রাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে ক্যাফেতে চলে আসে শর্মি। রাই সমস্ত ঘটনাটা বিস্তারিত বুঝিয়ে বলে শর্মি। উল্লেখ্য, শর্মি রাইকে এটাও বোঝানোর চেষ্টা করে যে রাই অফিসে না গেলে এতজন মানুষের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। ওনাদের সবার চাকরি চলে যাবে। যদিও শর্মি কথা শুনেও নিজের সিদ্ধান্ত অনড় থাকে রাই। সে শর্মিকে বলে সে এই বিষয়ে কিছু করতে পারবে না এটা সম্পূর্ণভাবে অনির্বাণের একাই সিদ্ধান্ত।
তবুও রাইকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে শর্মি। তখনই রাইকে ফোন করে অনির্বাণ। ফোন কেটে দিয়ে ক্যাফে থেকে বেরিয়ে যায় রাই। কিন্তু শর্মিও মনে মনে ঠিক করে নেয় যে করেই হোক এই পরিস্থিতি ঠিক করবেই। তবে ক্যাফে থেকে বাড়িতে এসেও অনির্বাণের কথাই ভাবতে থাকে রাই। বিরক্ত হয়ে অনির্বাণকে ফোন করে রাই জিজ্ঞাসা দেয় কেন সে কলকাতা ছেড়ে চলে যাচ্ছে? যদিও রাইয়ের এরকম আচরণ দেখে অবাক হয়ে যায় অনির্বাণ।
আরও পড়ুন: দারুণ খবর! জলসায় ‘শুভ বিবাহ’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে ফিরছে খুব জনপ্রিয় একটি জুটি! জানলে দিল হবে খুশ
স্রোতকে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল সার্থক
এদিকে স্রোত পৌঁছে যায় আয়েশার এনগেজমেন্ট পার্টিতে। সেখানে গিয়েই স্রোতের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় সার্থকের বাবার। এরপর তিনি স্রোতের সঙ্গেই কথা বলতে থাকেন সার্থকের বিষয়ে। সার্থকের বাবা স্রোতকে জানান সার্থকের ব্যাপারে। বাস্তবে কেন সার্থক এরকম হয়ে গেলে। এরপর তিনি চলে যাওয়ার পর আয়েশার সঙ্গে কথা বলতে থাকে স্রোত। তখনই চলে আসে সার্থক। স্রোতকে দেখে একেবারেই মুগ্ধ হয়ে যায় সার্থক। কিন্তু সার্থককে দেখে রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় সার্থক। সে ভাবতে থাকে এবার সে কি করবে। তাহলে কি এবার আস্তে আস্তে সার্থকের মনে জমে থাকা বরফ গলবে, আপনাদের কি মনে হয়?