মেয়েদের সঙ্গে হুল্লোড়ে মাতলেও তাদের চিনতে ব্যর্থ সূর্য! তবে মিসেস দাসের চোখকে ফাঁকি দেওয়া দুষ্কর! সত্য গোপনের জন্য কী বেকায়দায় পড়বে দীপা? 

Anurager Chhowa Today Episode: স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ (Anurager Chhowa)। ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে সূর্য। বর্তমানে মোহনপুরের মানসিক হাসপাতাল নিরালায় চিকিৎসাধীন সে। দীপাও সূর্যের কাছাকাছি থাকতে এই হাসপাতালে আয়ার কাজ নিয়েছে। দীপাকে না দেখতে পেলে কেমন ক্ষেপে ওঠে সূর্য। অন্য কোনও নার্স বা কর্মীর কথা শোনে না সে। এদিন রাতে এক রোগীকে বুকের ব্যথায় ছটফট করতে দেখে বসে থাকতে পারে না সে।

মানসিক ভারসাম্য নড়েছে, স্মৃতিভ্রম হয়েছে, কিন্তু পেশার কিছুই এখনও ভুলে যায়নি। তাই সময়মতো একেবারে ঠিক ইনজেকশন দিয়ে রোগীর ব্যথা নির্মূল করেছে। তবে ডক্টর স্যানাল না থাকায় মিসেস দাস বুঝে উঠতে পারেনা পরিস্থিতি কী করে সামাল দেবেন। বাধ্য হয়ে দীপাকে ফোন করেন তিনি।

এদিকে, দীপা, সারথি, সতু আর সোনা-রূপা বাড়ি এসেছে। সতুর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি মিটেছে। তখনই ফোন আসে হাসপাতাল থেকে। দীপা বাড়িতে ‘কাজের জায়গায়’ যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। এত রাতে কোন কাজে যাচ্ছে দীপা? উত্তর জানতে তার পিছনে সারথিকে নিয়ে ছুটে যায় সোনা আর রূপা।

ভিতরে গিয়েই রইল চমক। বাবাকে এই অবস্থায় দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারে না সোনা-রূপা। তবে সূর্য চিনতে পারে না দুই মেয়েকে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে কয়েকটি অবয়ব। তারপরই তীব্র মাথা যন্ত্রণা। সোনা-রূপাকে বাবা ডাকতে শুনে সন্দেহ বেড়ে যায় মিসেস দাসের। সরাসরি সোনা-রূপাকে প্রশ্ন করলেও সদুত্তর মেলে না। এদিকে সূর্যও চিনতে পারেনি সোনা-রূপাকে।

দীপাও আচমকা দুই মেয়েকে দেখে অস্বস্তিতে পড়ে যায়। সে চায়নি মেয়েরা সূর্যকে এই অবস্থায় দেখুক। দীপাকে বেকায়দায় পড়তে দেখে মুখ রক্ষা করল রূপা। বলে, ইনি তাদের বাবা নন। বাবার মতো দেখতে। বাবা হলে তো চিনতে পারত। তবে প্রধান নার্সের মন থেকে হয় খটকা। তবে কী সত্য গোপনের জন্য পরবর্তীতে বেকায়দায় পড়বে দীপা?

You cannot copy content of this page