একেই বলে আদর্শ ভালোবাসা! গান গেয়ে তীর্থর অপরেশনের টাকা রোজগার করল পুতুল,পাশে শিমুল! কার কাছে কই মনের কথা আজ দারুণ চমক

Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode: জি বাংলার (Zee Bangla) সে ধারাবাহিকগুলো বর্তমানে বিপুলভাবে চর্চিত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম কার কাছে কই মনের কথা (Kar Ke achKoi Moner Kotha)। শুরু থেকেই ধারাবহিকটির কাহিনী বারবার নজর কেড়েছে দর্শকদের। যদিও এখনও পর্যন্ত স্লট দখল করতে পারেননি শিমুল। প্রথমে শিমুল গীতার কাছে পরাস্ত হলেও সময় পরিবর্তনের ফলে দীপার সঙ্গে বেশ খানিকটা ব্যবধান মেটাতে সক্ষম হয়েছেন অর্গানিক স্টুডিওর এই ধারাবাহিকটি।

তবে বর্তমানে শিমুলের থেকে সরে গিয়ে কাহিনীর মুখ কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে পুতুল আর তীর্থ। হঠাৎ রাত্রে তীর্থ পুতুলকে জানায় খুব শরীর খারাপ লাগছে তার। পুতুল তখন শিমুল বা রঞ্জাদের ডাকার কথা বললে এত রাত্রে কেউকে বিরক্ত করতে বারণ করে দেয় তীর্থ। পুতুলকে সে বলে একটা গান শোনাতে। অসুস্থ স্যারের আবদার উপেক্ষা করতে পারেনি পুতুল। তীর্থর ইচ্ছাতেই গান গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে পড়ে সে।

কার কাছে কই মনের কথা আজকের পর্ব ২৯ মে (Kar Kache Koi Moner Kotha Today Episode 29 May)

তবে পরেরদিন সকাল হতেই স্যারকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসে পুতুল। সেখান থেকেই সে ফোন করে হাসপাতালে ডেকে নেয় শিমুল আর পরাগকে। শিমুল আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পুতুল। ডাক্তারও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তীর্থর হার্টের অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। ব্লকেজ রয়েছে অনেকে। ফলে তীর্থকে বাঁচাতে গেলে করতে হবে ওপেন হার্ট সার্জারি। যার জন্য লাগবে অনেকগুলো টাকা। সবটা শুনে পুতুলকে অনেক বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় শিমুল।

পরাগের সঙ্গে কথা বলে সে সিদ্ধান্ত নেয় তীর্থ এনজিওতে গিয়ে একটা শো অর্গানাইজ করতে বলবে তারা। এই বিষয়ে শিমুলের পাশে দাঁড়ায় তার চিরকালের বান্ধবীরাও। পরিকল্পনা অনুযায়ী পরেরদিন পরাগ, পুতুল আর বিপাশাকে নিয়ে এনজিওর দোরগোড়ায় হাজির হয় শিমুল। সেখানকার কর্ণধারকে অনেক অনুরোধ করে তারা। তিনি জানান সকলের সঙ্গে কথা বলে শিমুলদের জানাবেন তিনি।

আরও পড়ুন: মেয়েদের সঙ্গে হুল্লোড়ে মাতলেও তাদের চিনতে ব্যর্থ সূর্য! তবে মিসেস দাসের চোখকে ফাঁকি দেওয়া দুষ্কর! সত্য গোপনের জন্য কী বেকায়দায় পড়বে দীপা?

গান গেয়ে তীর্থর অপরেশন টাকা রোজগার করল পুতুল

কিছুদিন পর ফোন আসে সেই ব্যক্তির। তিনি জানান ভিতরে না হলেও বাইরে একটি শো আয়োজন করছেন তারা। কথাটা শুনেই সকলে মিলে চলে যায় সেই নির্ধারিত স্থানে। কিন্তু তাদের পৌঁছানোর পর সেই ব্যক্তি জানান পুতুলের সঙ্গে একই মঞ্চে গাইতে রাজি হচ্ছেন না মুখ্য শিল্পী। আর কোন উপায় না পেয়ে রাস্তাতেই গান ধরে পুতুল। পুতুলের গান শুনে লোক আসতে থাকে সেই স্থানে। এমনকি চলে আসেন সেই অতিথি শিল্পীও। দিদির মধ্যে এত প্রতিভা দেখে অবাক হয়ে যায় পরাগও। তাহলে কি এইভাবে গান গেয়েই তীর্থকে বাঁচানোর জন্য টাকা উপার্জন করবে পুতুল, আপনাদের কি মনে হয়?