“জি বাংলার কর্মজীবী নায়িকারা বসের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অফিসে যায়!” কর্মজীবী মহিলাদের সম্পর্কে সমাজে ভুল বার্তা দিচ্ছে জি বাংলা! কটাক্ষ করলেন নেটিজেনরা

যে নারী রাধে সে চুলও বাঁধে অর্থাৎ একজন মহিলা অফিস বাড়ি, সংসার সবটাই একহাতে সামলাতে পারে বর্তমানে জি বাংলার (Zee Bangla) প্রায় প্রতিটি ধারাবাহিকই দর্শকদের কাছে তুলে ধরেছে এই বার্তা। জগদ্ধাত্রী (Jagaddhatri) থেকে পর্ণা এমনকি রাইপূর্ণা থেকে শুরু করে জি বাংলার নতুন সদস্যা মধুবনী সমস্ত ধারাবাহিকের নায়িকারাই বর্তমানে কর্মজীবী।

জি বাংলার দুই কর্মজীবী অভিনেত্রী রাইপূর্ণা এবং মধুবনী

মা দুর্গার মতোই নিজেদের সংসার এবং সন্তান সামলাচ্ছেন তারা। যেমন ধরুন অর্গানিক স্টুডিওর প্রযোজিত ধারাবাহিক মিঠিঝোরার রাইপূর্ণা। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের সমস্ত দায়ভার সে তুলে নিয়েছে নিজের কাঁধে। পরিবারের অন্ন বস্ত্র সবটাই বর্তমানে চলছে তার ভরসায়। এমনকি সংসারের কথা ভেবে নিজের ভালোবাসার মানুষকেও ছেড়ে দিয়েছে সে।
অপরদিকে জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক কে প্রথম কাছে এসেছিতেও মধুবনীর জীবনের গল্পটাও খুব একটা সহজ নয়। ছোট মিহিকে সামলে অর্থ উপার্জনের জন্য অফিসে চাকরি করছে সে।

বর্তমানে জি বাংলার পর্দায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই দুটি ধারাবাহিক। ইতিমধ্যেই রাত ১০টার স্লট দখল করেছে মিঠিঝোরা। অন্যদিকে কে প্রথম কাছে এসেছি এখন স্লট দখল করতে না পারলেও দর্শকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকের কাহিনী মন ছুঁয়ে গেছে দর্শকদের। তবে প্রশংসার পাশাপাশি কটাক্ষও কুড়িয়েছে এই ধারাবাহিক দুইটি।

কেন দর্শকদের তোপের মুখে পড়ল মিঠিঝোরা আর কে প্রথম কাছে এসেছি?

কারণ? বসের সঙ্গে প্রেম। এই দুটি ধারাবাহিকেরই নায়ক অফিসের বস। ধারাবাহিক কে প্রথম কাছে এসেছিতে দেখা যাচ্ছে মিহির মাধ্যমেই ধীরে ধীরে কাছাকাছি আসছে ঋক এবং মধুবনী। অন্যদিকে রাইয়ের ব্যবহার আচরণ রাইয়ের প্রেমে পড়ে গেছে অনির্বাণ। রাই আর অনির্বাণের গল্প ইতিমধ্যেই এগিয়েছে বিয়ে পর্যন্তও। তবে ধারাবাহিক দুইটি এরূপ কাহিনী মনে ধরেনি নেটিজেনদের একাংশর।

আরও পড়ুন: টিআরপিতে কামাল জি বাংলার! টিমটিম করছে স্টার জলসা! বাদ পড়ল গীতা! শীর্ষস্থানে বিরাট চমক

জি বাংলার ধারাবাহিক নিয়ে কি মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা?

সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনরা মন্তব্য করেছেন এই দুটি ধারাবাহিক নাকি সমাজের কর্মজীবী মহিলাদের বিষয়ে ভুল বার্তা প্রেরণ করেন। বারবার সব ধারাবাহিকে কাজে গিয়ে বসের সঙ্গে প্রেম বিষয়টি দেখিয়ে কর্মজীবী মহিলাদের চরিত্রকে কালিমা লিপ্ত করছে জি বাংলা। অপরজনের দাবি, “রাই আর মধুবনী এই দুই কর্মজীবী নায়িকারা অফিসে যায় শুধুমাত্র বসের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আর তাদের সঙ্গে মান অভিমানের খেলা খেলবার জন্য। কাজ করার কোন উদ্দেশ্য নেই। ভাবলেও লজ্জা লাগে।” তবে কি এই দুটি ধারাবাহিক সত্যিই সমাজে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে? আপনাদের কি মনে হয়?