মানুষ পয়সা উপার্জনের জন্য কী কী না করতে পারে! যারা সৎ পথে থাকেন অনেক সময় পয়সার জন্য তারা অসৎ পথে চালিত হন। সেলিব্রিটিরাও কিছু কম যান না।তারা কেবলমাত্র টাকার জন্য এক এক সময়ে এমন প্রোগ্রামে নাম লিখে থাকেন যা দেখলে লজ্জায় মাথা কাটা যায় তাদের অনুরাগীদের।এর আগে কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (যিনি বামপন্থী মনোভাবের ছিলেন) হনুমান চল্লিশা যন্ত্রের বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে ভীষণ অপমানের সম্মুখীন হয়েছিলেন।
আর এবার অঘটন ঘটালেন অভিনেত্রী ইন্দ্রানী হালদার।বহুদিন হলো ইন্দ্রানী টলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিভিন্ন সিনেমায় অভিনয় করে। এরপর তিনি বলিউডের সিরিয়ালে অভিনয় করেন। সেখানেও যথেষ্ট নামডাক হয় তার। এরপর বাংলায় ফিরে এসে একের পর এক সিরিয়াল করতে থাকেন তিনি। শেষ তাকে দেখা গেছে স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় সিরিয়াল শ্রীময়ীর নাম ভূমিকায়।
তবে এবার ইন্দ্রানী হালদার কে যে ভূমিকায় দেখা গেল তা সহজে মেনে নিতে পারছেন না তার অনুরাগীরা। মাঝে মাঝেই আমাদের কেবল চ্যানেলে দেখা যায় বিভিন্ন ঔষধের বিজ্ঞাপন। যে ওষুধগুলো কিন্তু মেডিক্যালি সার্টিফায়েড নয়।সেই ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করাও মানুষের উচিত নয় কারণ তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।সেই সকল ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের নিয়ে এসে প্রচার করতে থাকে।
আর এবার সন্ধি অমৃত বলে এরকম একটি হাঁটুর এবং জয়েন্টের ব্যথার ওষুধের জন্য বিজ্ঞাপন করতে দেখা গেল ইন্দ্রানী হালদার কে।যেখানে ডাক্তাররা বারংবার বলে আসছেন যে এরকম ভাবে টিভি দেখে কোন ওষুধ কেনা এবং তা গ্রহণ করা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে সেখানে ইন্দ্রানী হালদারের মত একজন দায়িত্ববান সেলিব্রিটি কী করে একটি ওষুধ প্রোমোট করতে পারেন টিভির পর্দায় সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
যদি ইন্দ্রানী হালদারের অনুরাগীরা এই ওষুধ ব্যবহার করে কোন শারীরিক ক্ষতির সম্মুখীন হন তাহলে তার দায় ইন্দ্রানী হালদার নেবেন তো এরকমই প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন তাহলে কি শুধুমাত্র পয়সার জন্যই এই কাজ করতে রাজি হলেন ইন্দ্রানী? যার উত্তর জানা নেই কারোরই।