জি বাংলার ( Zee Bangla ) জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠিঝোরা ( MithiJhora )। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে অনির্বাণ সব সত্যি জানতে পেরে হাসপাতালে ছুটে যায় কিন্তু স্রোত তাকে রাইয়ের কাছে পৌঁছাতে দেয় না ও তার কৃতকর্মের জন্য অনেক কথা শোনাতে থাকে। অনির্বাণ বারংবার ক্ষমা চায় স্রোতের কাছ থেকে কিন্তু স্রোত অনির্বাণকে রাইয়ের বিষয়ে কোনও খবর দিতে চায় না।
‘মিঠিঝোরা’ আজকের পর্ব ১০ সেপ্টেম্বর/ MithiJhora today full episode 10 September
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় স্রোত অনির্বাণকে বলে দেয় সে চায় না অনির্বাণ আর তাঁর দিদির জীবনে থাকুক অনির্বাণ তাঁর ভুল বুঝে ক্ষমা চাইলেও স্রোত তাঁকে চলে যেতে বলে।সার্থক স্রোতকে বলে, তুমি কি এখন এখানে ঝগড়া করবে স্রোত? স্রোত চায়না ঝগড়া করতে কিন্তু অনির্বাণকে দেখলে তার মাথা ঠিক থাকে না। স্রোত তখন সার্থককে জিজ্ঞেস তাঁর দিদি ভাইয়ের স্বাস্থ্যের কথা সার্থক জানায় তার দিদিভাই একদম সুস্থ আছে এবং তাঁর অপারেশনও সাকসেসফুল।
অন্যদিকে দেখা যায় অনির্বাণ শৌর্য্যের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁকে আর ভুল বুঝবে না বলে। শৌর্য্য বলে, অনিদা যার মনে একবার সন্দেহের বিষ ঢুকে যায়। সে আর কখনও সন্দেহ থেকে দূরে যেতে পারে না। তুই আবারও ভুল বুঝবি আমি জানি কিন্তু আমার নিজের জন্য খারাপ লাগে না, আমার খারাপ লাগে রাইয়ের জন্য। ও তো তোকে ভালোবেসেই বিয়েটা করেছে বিশ্বাস করেছে। অনির্বাণ তখন বলে, কেন তোরা কেউ বুঝতে পারছিস না, আমিও ওকে ভালোবাসি কিন্তু কীভাবে যে কী হয়ে যায়!এরপর দেখা যায় হাসপাতাল থেকে রাইয়ের চিকিৎসা বাবদ টাকা চাওয়া হয়, সব টাকা একবারে দিতে বলে তখন বৌমনি বলে তাহলে আমার কিছু গয়না একবারে বিক্রি করে দেওয়া হোক। ইতিমধ্যে অনির্বাণ পৌঁছে গিয়ে তার স্বামীর অধিকারী হাসপাতালের বিল মেটাতে চাইলে রোজ স্পষ্ট জানায় তাদের অনির্বাণের টাকার দরকার নেই।
এরপর সার্থকের থেকে স্রোত টাকা ধার নিয়ে হাসপাতালের বিল মিটিয়ে নেয় আর নীলু ফোন করে শৌর্য্যকে, সে কোথায় আছে জানার জন্য! তখন শৌর্য্য রাইয়ের বিষয়টা জানিয়ে দেয় এরপর সোহিনী সেখানে এসে রাইয়ের জন্য চিন্তা প্রকাশ করলে স্রোত সোহিনীকেও ভালোমতো কথা শুনিয়ে দেয় স্রোত সে স্পষ্ট করে জানায় তারা ভাবে কি করে যে তাদের অপেক্ষায় রাইয়ের অপারেশন আটকে আছে? রাই এর মাও তাদের জানিয়ে দেয় তাদের জন্যই তার মেয়ের আজ এরকম অবস্থা তাই তিনি কোনভাবেই চান না রাই তাদের বাড়ি গিয়ে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ুক।
আরও পড়ুন: ভুল বোঝাবুঝির চূড়ান্ত! আলাদা হল সোনা আর দীপার ঘর, এবার কি সম্পর্ক খারাপ হতে চললো মা ও মেয়ের?
শৌর্য্য অনির্বাণকে মানসিক রোগের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেয়। স্রোত সকলকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং সে নিজে হাসপাতালে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। সার্থক এর কাছ থেকে সে পারমিশন চেয়ে নেয় আই সি ইউ-তে তার দিদির কাছে থাকার জন্য। স্রোতের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট সোহিনী প্রসেনের কানে বিষ ঢালতে এলে প্রসেন জানায় প্রেগনেন্সি নিয়ে সোহিনী তাকে যেভাবে ভুল বুঝেছে তাতে যদি রাইয়ের বাড়ির লোকজন তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তা কোন ভুল নয়।