আর জি কর ( R g kar issue ) আবহে উত্তাল হয়ে আছে রাজ্যের ( West Bengal ) পরিস্থিতি। সকলের যখন একটাই দাবি, ন্যায় বিচার চাই, দোষের শাস্তি চাই, তখন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের (Tollywood industry )মধ্যে থেকে একের পর এক অভিযোগ উঠে এল। প্রথমে পরিচালক অরিন্দম শীলের( Arindam sil ) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ পরে সেই একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন অভিনেতা জয়জিৎ ব্যানার্জী ( Joyjit Banerjee )।পরিচালক অরিন্দম শীলকে ইতিমধ্যেই ডিরেক্টর্স গিল্ড সাসপেন্ড করেছে এবং অভিযোগকারী অভিনেত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগে পরিচালকের নামে থানায় এফ আই আর দায়ের করেছে।
এইবার তথ্য প্রমাণ সহ জয়জিতের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমকে মুখ খুললেন অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগকারী সেই মডেল। নিজেকে মডেল পরিচয় দিয়ে শিখা নামের সেই অভিযোগকারী এর আগেই সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন যে “ জয়জিৎ… সবাই চেনে… ম্যাসেজ করে সাইজ কত জানতে চায়।” এরপর অভিনেতা একটি সংবাদ মাধ্যমে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন ও তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ দেখাতে বলেন।
এইবার জনপ্রিয় একটি সংবাদমাধ্যমে তথ্য প্রমাণ সহ অভিযোগকারী মডেল বলেন, বছর তিন আগে অভিনেতা নিজের ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে যোগাযোগ করেন তার সাথে। এরপর অভিনেতা নিজেই তাকে জানান, তাকে দেখে মনে হচ্ছে সুযোগ পেলে ওই মডেল অনেক উন্নতি করবেন। মডেল যদি চান তাহলে অভিনেতা তাকে সুযোগ দিতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই এই কথায় অত্যন্ত খুশি হয়ে যান ওই মডেল। শিখা বলেন,“ আমিও অভিনয় করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ফলে জয়জিৎ নিজে থেকে যোগাযোগ করায় হাতে যেন চাঁদ পেয়েছিলাম।”
কিন্তু মডেল বলেন, তার সেই সুযোগ ক্রমশ বিপদের কারণ হয়ে ওঠে। মডেলের কথায় ক্রমশ কথার ধারা বদলে যেতে থাকে অভিনেতার, প্রথমদিকে আভাস ইঙ্গিতে তারপর সোজাসুজি শারীরিক সম্পর্কের কথা বলেন তিনি। এমনকি এও বলেন যে কিছু পেতে গেলে কিছু কম্প্রোমাইজ তো করতেই হবে। দুজনের এই কথাবার্তার একটি প্রতিচ্ছবি প্রমাণস্বরূপ সেই সংবাদ মাধ্যমকে দিয়েওছেন সেই মডেল। এমনকি তিনি জানান অভিনেতা নিজের স্ত্রীকে বিচ্ছেদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ওই মডেলের সাথে সহবাস করেন। এরপর মডেল যখন সেই প্রতিশ্রুতির কথা মনে করান তখন ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকেন জয়জিৎ।
এমনকি অভিনেতার স্ত্রী শ্রেয়াকে মডেল এই ঘটনা পুরোটা বললেও জয়জিতের স্ত্রী শ্রেয়া নাকি বিষয়টি নিয়ে পাত্তা দেননি, এমনকি তিনিও নাকি ম্যাসেঞ্জারে জানান, অভিনেতার এরকম অনেক সম্পর্ক আছে তাই তিনি এই বিষয়টা নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না এবং অভিযোগকারীকে শ্রেয়া আরও প্রশ্ন করেন, বিবাহিত জেনেও কেন সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন মডেল? কিন্তু এতদিন কেন চুপ ছিলেন এই মডেল? এই প্রসঙ্গে মডেল বলেন,“এখনও সমাজ এই ধরনের ঘটনায় মেয়েদের দায়ী করে। অভিযোগের আঙুল তোলে তাদের দিকে। যার জেরে কালিমালিপ্ত হয় ওই মেয়েটি। পুরুষের গায়ে মালিন্য স্পর্শ করে না। তাই বলতে চেয়েও বলতে পারিনি।” একই সাথে মডেল বলেন,“নালিশ জানালেও ন্যায় পেতেন কি?”
আরও পড়ুন: আজও অন্যান্য শিল্পীদের সঙ্গে তিনি ওঠেন মঞ্চে, তাঁর জন্য রাখা থাকে ডুবকিও! কালিকাপ্রসাদের জন্মদিনে জানুন এক অন্য গল্প
অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে জয়জিৎ বলেন,“আমি এ রকম কাউকে চিনি না। ফলে, শারীরিক সম্পর্ক দূরের কথা, মেসেঞ্জারে কথাও হয়নি আমাদের।” অভিনেতা আরও বলেন, তার স্ত্রী তাকে বিশ্বাস করে বলেই এই ঘটনাটাই পাত্তা দেন নি, অন্যদিকে অভিনেতা রীতিমত চ্যালেঞ্জ করে বলেন,সংবাদমাধ্যম মারফত তিনি ওই অপরিচিতাকে বার্তা দিচ্ছেন যে, আদালতেই তার সঙ্গে দেখা হবে অভিনেতার।