আর জি কর কাণ্ডের ( RG Kar Issue ) পর রেপ-টেপ শব্দ বন্ধনী উচ্চারণ করে চরম কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী ডোনা গাঙ্গুলি ( Dona Ganguly )। এবার, মহিলাদের ক্ষমতায়নের বার্তা ফুটে উঠল তাঁর মহিষাসুরমর্দিনীতে। দুর্গাপুজোর (Durgapuja 2024) উৎসবের প্রাক্কালে, বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য প্রকাশ হিসেবে মঞ্চস্থ হল ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। এই নৃত্যনাট্যে, দেবী দুর্গার মহিষাসুরের বিরুদ্ধে সংগ্রামকে ছন্দ, তাল ও লয়ের মধ্যে দিয়ে উদ্ভাসিত করা হলো। ডোনা গাঙ্গুলি (Dona Ganguly) ও তাঁর ‘দীক্ষা মঞ্জরি’ গ্রুপের শিল্পীরা এই চমৎকার কাহিনীকে নতুন করে জীবন্ত করে তুললেন।
প্রায় ৫০০ জন নৃত্যশিল্পী একসাথে উপস্থাপন করলেন মহিষাসুরকে দমন করার সেই ঐতিহাসিক লড়াই। প্রত্যেকটি নৃত্যের পা, শাস্ত্রীয় সংগীতের সুরের সঙ্গে মিলেমিশে এক অনন্য রূপ ফুটিয়ে তোলে। দর্শকরা যেন কল্পনার জগতে ডুব দিয়ে, দেবী দুর্গার ঐশ্বরিক শক্তির অনুভূতি পেলেন।
ডোনার নৃত্যে নারী ক্ষমতায়নের বার্তা!
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন কেতন সেনগুপ্ত। তাঁর স্বর ও মহালয়া পাঠের মাধ্যমে, দর্শকদের মনে দেবী দুর্গার আহ্বান পৌঁছে দেন। “মহালয়ার এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমি অত্যন্ত সম্মানিত,” তিনি বলেন। “আমি চেয়েছিলাম দর্শকরা যেন দেবী দুর্গার শক্তি ও করুণা অনুভব করতে পারেন।”
নারীশক্তির জয়গান এবং দেবী দুর্গার আরাধনা এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য ছিল। মহিষাসুরকে পরাস্ত করে নারীশক্তির উদযাপন আজও সংস্কৃতির অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দুর্গাপুজোর এই উৎসবে, ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ যেন নতুন করে জাগ্রত করল বাঙালির ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মাধুর্য।
আরও পড়ুন: ‘মেয়ে বলে সে মদ খেতে পারবে না? মেয়েদের মদ খাওয়ায় ফতোয়া জারি করে নারী সুরক্ষা হয় না!’ মমতা শঙ্কর
উৎসবের এই আমেজে, মহিষাসুরমর্দিনী এক নতুন পথ দেখালো, যেখানে নারীশক্তির গুরুত্ব ও দেবীর আবাহন একই সঙ্গে হয়ে উঠলো। ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “আমরা এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চেয়েছি নারীশক্তির গুরুত্বকে তুলে ধরতে। মহিষাসুরমর্দিনী নারীর সংগ্রাম এবং শক্তির এক চিত্র।”