তাঁর পারিবারিক পুজো। তাই বন্ধ করার উপায় নেই। কারণ, এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে বাড়ির প্রত্যেকের অনুভূতি। তাই তিনি শ্বশুরবাড়ির পুজোয় যোগ দেবেন বলেই জানালেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। কিন্তু অনুরাগীদের কথা দিয়েছেন তিনি, নিজে কিনে নতুন পোশাক তিনি পরবেন না। গত শুক্রবার সমাজমাধ্যমে সে কথা জানাতেই কটাক্ষের শিকার অভিনেত্রী। বাধ্য হয়ে নিজের পোস্ট মুছে ফেলতে হলো তাঁকে।
এ বছরের পুজো প্রতিবারের মত নয়। অন্য রকম। আরজি কর-কাণ্ডের রেশ কাটেনি বাংলায়। রয়ে গিয়েছে প্রতিবাদের সুর। তার জেরে উৎসবে মন নেই শহরবাসীর। তবে উদযাপনে যোগ না দিলেও বাড়ির পুজো বন্ধ রাখা যায় না। কোয়েল মল্লিক, সুদীপা চট্টোপাধ্যায় শোভাবাজার রাজবাড়ি হয়ে শহরের সমস্ত বনেদি বাড়িতেই পুজোর রীতি মেনে আড়ম্বরহীন পুজো হচ্ছে। তাই অনুরাগীদের প্রশ্ন শ্রুতির বাড়িতে পুজো হলে বা সে কথা জানালে সেখানে সমস্যা কোথায়?
পোস্টে শ্রুতি লিখেছিলেন, তিনি এভাবেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাহলে কেন তিনি পোস্ট মুছলেন? সংবাদ মাধ্যমকে শ্রুতি জানিয়েছেন, তাঁর মনে হয়েছে, পোস্টটি আসলে না রাখাই উচিত। তিনি এই নিয়ে আর নতুন করে বিতর্ক তৈরি করতে চান না। তাই এর বেশি কিছু জানাতে চাননি ‘রাঙাবউ’।
তবে শ্রুতি কিছু না বললেও তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট আভাস মিলেছে যে সম্ভবত পোস্ট ঘিরে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। অভিনেত্রী তাঁর বক্তব্য মুছে ফেললেও এক জনৈক নেটাগরিক তাঁর পোস্টের ছবি নিয়ে রেখেছিলেন। তিনি সেই ছবি ভাগ করে নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেছেন, “এমনিতে ওঁর অশৌচ ছিল। তবে উনি কিন্তু মানবিক, কেবল শ্বশুরবাড়ির পুজোটুকু করতেই হয় তাই করছেন।
আরও পড়ুনঃ কথায় টানটান রোমাঞ্চ! অগ্নির মাকে ফিরিয়ে আনল কথা, আসছে ধুন্ধুমার আর এপিসোড, পর্ব মিস করবেন না
এরপর তিনি আরও লিখেছেন, আপনাদের যাঁদের শ্বশুরবাড়ির পুজো করার ক্ষমতা নেই তাঁরা প্লিজ অশৌচ পালন করুন। উনি উস্কে দিয়ে আনন্দ করবেন। তবে উনি অবশ্যই একটাও সুতো কিনবেন না। শুধু পাওনা পরে কাটাবেন, ওঁকে উপহার দিতে পারেন।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি করে নির্যাতিতা মৃতা তরুণী চিকিৎসকের জন্য অশৌচ পালনের হিড়িক প্রথম শ্রুতিই তুলেছিলেন।