নন্দনে প্রদর্শিত হবেনা শাস্ত্রী! প্রজাপতির পর ফের বাংলার সরকারি হলে ব্রাত্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার জয়ী মিঠুন চক্রবর্তী?

১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের পরিচালনায় প্রথমবারের মতো তিনি পা রাখেন সিনেমা জগতে। তার অভিষেক হয় হিন্দি চলচ্চিত্র মৃগয়ায়। তিনি সবার প্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। আর জানেন কী নিজের প্রথম ছবির মধ্যে দিয়েই তিনি ‘সেরা অভিনেতা’ হিসেবে ভারতীয় ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ হাতে তোলেন এই তারকা। আর সম্প্রতি ভারতে সিনেমার সর্বোচ্চ সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার‌ও পেয়েছেন তিনি।

বাংলায় তো বটেই বলিউডেও সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায়, কঠিন পরিশ্রমে নিজের স্থায়ী আসন প্রতিষ্ঠা করেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আজও বাংলা থেকে হিন্দি সব জায়গাতেই দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তার অভিনয় ক্ষমতা প্রশ্নাতীত। তিনি জাত শিল্পী। আর এই শিল্পীর সিনেমাই নাকি ঠাঁই পাচ্ছে না বাংলায়।

ঘটনা কী? এই বছর পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে পথিকৃৎ বসু পরিচালিত মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত ছবি শাস্ত্রী। কিন্তু এই ছবির ঠাঁই হয়নি বাংলার সরকারি হল নন্দনে এবং রাধাতে। আর আগে মিঠুন চক্রবর্তীর সিনেমা প্রজাপতির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই বার‌ও নন্দনে এবং রাধাতে প্রদর্শিত হয়নি প্রজাপতি। আর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার‌ও ঘটল? তবে কী বিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সমর্থক হ‌ওয়ার কারণে বাংলার শাসকদলের কুনজরে মিঠুন চক্রবর্তী?

আরও পড়ুন: পর্দায় নয়, বাস্তবে একেবারে নীরবে, নিভৃতে বিয়ে সারলেন মেয়েবেলা খ্যাত স্বীকৃতি! পাত্র কে?

যদিও শিল্পের সঙ্গে রাজনীতির সংঘাত হ‌ওয়া তো উচিৎ নয়। শিল্প এক জায়গায়, শিল্পীর রাজনৈতিক মতাদর্শ অন্য জায়গায়।যদিও শাসকদলের বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী রয়েছেন এই সিনেমায়। এই বিষয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী ছবির পরিচালক বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে বিনোদন দুনিয়ার সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে। তার পরেও নন্দন, রাধার মতো সরকারি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পাচ্ছেন না মিঠুন চক্রবর্তী! ভাবা যায় না।

Back to top button