বরাবরের মতোই রাজনৈতিক ময়দানে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র ( Srilekha Mitra )। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ময়দানে, শ্রীলেখা প্রকাশ্যে CPI(M)-এর সমর্থক পরিচয় দিতে দ্বিধা করেননি। তৃণমূল এবং প্রয়োজনে বিজেপির বিরুদ্ধেও তিনি সুর চড়াতে পিছপা হননি। হালফিলে, কুণাল ঘোষের ( Kunal Ghosh ) সঙ্গে তাঁর তর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। কুণাল, নাম না করে শ্রীলেখাকে তাঁর অতীতের একটি ঘটনা নিয়ে আক্রমণ করেছেন।
শ্রীলেখা পালটা জবাব দিয়েছেন, যেখানে কুণালের নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি কুণাল ঘোষ ও শাসকদলের মুখপাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, “জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেববাবুর সময়ে মহিলা শিল্পীদের প্রতি এই ধরনের অসভ্যতা সম্ভব ছিল?” তাঁর বক্তব্য, কুণাল এক পুলিশ আধিকারিকের কাছে তাঁর অভিযোগের বিষয়টিকে বিকৃতভাবে প্রকাশ করেছেন, যা তখন কুণালের পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছিল।
কুণালের মন্তব্যের পেছনে শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে শ্রীলেখা প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কুণালকে গুরুত্ব দেন না, তখন তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়ার মানে কী?” শ্রীলেখা এখানেই থেমে থাকেননি, তিনি কুণালকে সতর্ক করে বলেছেন যে, তাঁর প্রতি কোনো আক্রমণ হলে তার দায় কুণাল বাবুর উপর বর্তাবে।
শ্রীলেখার ফেসবুক পোস্টে কুণালের বক্তব্যকে একটি দুষ্টমির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যেখানে কুণাল ‘দেয়া নেয়া বা ছদ্মবেশী ছবিতে ড্রাইভারের ছবি’ নিয়ে কথা বলেছেন। শ্রীলেখা জানিয়েছেন, তাঁর স্বজনদের সতর্ক করেছেন যে, যদি তিনি কোনো বিপদের সম্মুখীন হন, তবে সেই দায় কুণালের।
আরও পড়ুন: বড় হচ্ছে ষড়’যন্ত্রের বীজ! বৃন্দার চ’ক্রান্তের জা’লে রাঙামতি!
এই রাজনৈতিক সংঘাতের পটভূমিতে শ্রীলেখার দৃঢ় অবস্থান স্পষ্ট। তিনি কুণাল ঘোষের মতো মানুষদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবেন। তাঁর কথায়, “মরলে প্রমাণ রেখে মরবো।”