রাঙামতির স্বপ্ন ভেঙে যাচ্ছে! বাড়ির সবাই তার বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। বাধ্য হয়ে দিদিমণিও তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তিরন্দাজ হয়ে সোনার মেডেলের জায়গায় বিয়ের মালা গলায় দিতে হবে ভাবলেই চোখে জল চলে আসে রাঙামতির। তার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা জানতে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘রঙামতি তিরন্দাজ’ (Rangmati Tirandaj) এর শুটিং ফ্লোরে পৌঁছে যায় আজকাল টেলিভিশন। লাঞ্চ ব্রেক শেষে চলছে পরবর্তী দৃশ্যের প্রস্তুতি।
শুটিংয়ের মাঝেই জমজমাট আড্ডা একলব্য-রাঙামতির
শুটিংয়ের মাঝেই মেকআপ রুমে জমে ওঠে আড্ডা। একলব্যর মেকআপ রুমে গিয়ে রাঙামতি তার সংলাপ ঝালিয়ে নেওয়ার বদলে শুরু করে খোশগল্প। এই ক’দিনের মধ্যেই কতটা অফস্ক্রিন বন্ধুত্ব জমেছে তাদের? একলব্যর চরিত্রে থাকা নীলাঙ্কুর মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি একটু মুখচোরা। পর্দায় আমাদের চরিত্রে দূরত্ব থাকায় আমি সেটেই একটু দূরে থাকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু ওর অভিযোগ শুনতে শুনতে বাধ্য হয়েছি বন্ধুত্ব করতে।” নীলাঙ্কুরের কথায় লজ্জায় মুখ লুকিয়ে হাসেন রাঙামতি ওরফে মনীষা মন্ডল।
রাঙামতির চরিত্রে মনীষা মন্ডলের ভাষা, গেট আপ—সবই একদম আলাদা। শুরুতে এ চরিত্র নিয়ে ভয় পেয়েছিলেন। মনীষার ভাষায়, “তিরন্দাজের চরিত্রে অভিনয় করতে হবে শুনেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তির নিয়ে অনেক বিপত্তিও ঘটেছে সেটে।” তার কথা শেষ হতে না হতেই নীলাঙ্কুর বলেন, “ও একবার তির ছুঁড়ে সেটের লাইট ভেঙে দিয়েছিল। আরেকবার তো আমি নিজেই তিরের সামনে চলে এসেছিলাম। ভাগ্য ভালো বেঁচে গেছি।”
এ ধারাবাহিকের নায়ক একলব্যর জীবনে আছে দুই নায়িকা! চাপ কতটা সামলাতে পারছেন নীলাঙ্কুর? হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “চাপ তো অনেক। একদিকে প্রেমিকা, অন্যদিকে রাঙামতি। প্রেমিকার প্রতি ভালবাসা আর রাঙামতির প্রতি দায়িত্ব! আপাতত মায়ের কথা রাখবে একলব্য, ভবিষ্যৎ তো পরে দেখা যাবে।”
আরও পড়ুনঃ জলসায় দুর্দান্ত খবর! টিআরপি বাড়বে তরতরিয়ে, খুব শীঘ্রই জলসায় ফিরছেন চ্যানেলের শ্রেষ্ঠ নায়িকা
এই আড্ডার মাঝেই ফ্লোর ম্যানেজার এসে ডাক দেন। কিন্তু নায়ক-নায়িকার খোশগল্প চলছে তখনো। সাড়া না পেয়ে অবশেষে পরিচালকের কড়া ধমকেই দু’জন তড়িঘড়ি ফ্লোরে ফিরে যান।