গত সেপ্টেম্বরেই অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ মিত্র (Manoj Mitra)। তখনই জানা গিয়েছিল অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিক সমস্যা বাড়তেই সেই সময় তাকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। কিন্তু সেই যাত্রায় নিজের শরীরের সঙ্গে লড়াই করে ফিরে আসেন অভিনেতা।
কিন্তু শেষ রক্ষা হল না! ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ মিত্র। আজ মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ ই নভেম্বর সকালবেলা প্রয়াত হন অভিনেতা। বাংলা সিনেমায় তার অভিনয় সম্পদ হয়ে রয়ে গেল। অভিনেতার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বাংলার সিনেমা পাড়া। অভিনেতাকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বহু অভিনেতা অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য আজ থেকে দু’মাস আগে অভিনেতা যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সেই সময়, অভিনেতা কন্যা ময়ূরী মিত্র জানিয়েছিলেন তার বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। হার্ট যথাযথভাবে পাম্প করছে না। একেবারেই ওষুধের সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। এরপর অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু হঠাৎই নক্ষত্রপতন।
উল্লেখ্য, প্রবীণ এই অভিনেতা বাংলা থিয়েটার জগৎ তো বটেই বাংলা চলচ্চিত্র জগতেরও অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। সিরিয়ালের পাশাপাশি একাধিক সিনেমা, শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। তার প্রথম নাটক মৃত্যুর চোখে জল লেখেন তিনি ১৯৫৯ সালে। তবে ১৯৭২সালে চাঁকভাঙা মধু নাটকের মাধ্যমেই নাট্য জগতে পা রাখেন। এরপরই হয়ে ওঠেন নাট্যজগতের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুনঃ ঝিলিকের বস্তি পু’ড়িয়ে দিল প্রিয়রঞ্জন! মানুষের প্রাণ বাঁ’চাতে প্রাণের ঝুঁ’কি নিয়ে ঝাঁ’পিয়ে পড়ল ঝিলিক
বলাই বাহুল্য, এই অভিনেতার অভিনীত ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’-দেখে আজও মুগ্ধ হয় বাঙালি। ইদানিং কালে অবশ্য অভিনয়ে সেই অর্থে দেখা না গেলেও নিজের লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছিলেন অভিনেতা। বয়সে মরচে পড়লেও শিল্পে মরচে পরতে দেননি তিনি। কিন্তু আজ সময়ের কাছে মৃত্যুর সামনে থেমে গেলেন তিনি।