তিনি বদলে দিয়েছেন ভালোবাসার সংজ্ঞা! ভালোবাসতে শিখিয়েছেন তিনি। সুখে-দুঃখে, ভালোমন্দে প্রিয়জনের পাশে থাকতে, তাকে দু’হাতে আগলে রাখতে পারেন ক’জন? কিন্তু এই কাজটাই নিষ্ঠার সঙ্গে করে গেছেন সবার প্রিয় অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)।এই মানুষটি রত্ন সমান। সফল অভিনেতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন অত্যন্ত ভালো মনের মানুষও বটে। বান্ধবীর মারণ অসুখে সদা তাঁর পাশে থাকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা সবেতেই আছেন তিনি।
প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার জন্য সব্যসাচী চৌধুরী যা করেছেন তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে প্রকৃত ভালোবাসা কাকে বলে। তাদের গভীর প্রেম দেখে চোখ ভিজেছে বাঙালির। আর সেই প্রেম যখন মৃত্যুর সামনে ভেঙে পড়েছে তখনও নিজেদের আবেগ সঙ্গে রাখতে পারেনি তাদের অগুণিত ভক্ত-অনুরাগীরা। যদিও সময় এগিয়ে গেছে। ঐন্দ্রিলা চলে গেছেন আজ দুবছর।
নিজের কষ্টকে বুকে চেপে ফের কাজে ফিরেছিলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার প্রয়াণ পরবর্তী রামপ্রসাদ সেনের চরিত্র নিয়ে ধারাবাহিকের পর্দায় ফেরেন এই অভিনেতা। দারুণ জনপ্রিয় হয় সেই ধারাবাহিক। রামপ্রসাদের চরিত্রে অনবদ্য ছিলেন অভিনেতা। একটা সময় দারুণ টিআরপি নম্বর পেলেও ধীরে ধীরে নম্বর কমতে থাকে এবং বন্ধ হয় ধারাবাহিক। কিন্তু রামপ্রসাদ পরবর্তী আর অন্য কোনও ধারাবাহিকে দেখা যায়নি অভিনেতাকে।
আর এবার শোনা যাচ্ছে, ধারাবাহিকের দুনিয়াকে নাকি বিদায় জানিয়েছেন মহাপীঠ তারাপীঠ খ্যাত এই অভিনেতা। যদিও দর্শকরা ভীষণ রকম ভাবে অপেক্ষায় রয়েছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীকে ফের একবার ছোট পর্দায় দেখার জন্য। যদিও দর্শকদের সেই আশায় জল ঢেলেছেন খোদ অভিনেতা। এই মুহূর্তে সিনেমা, ওয়েব সিরিজ আর নিজের পরিচালনা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত সব্যসাচী। তাই আপাতত ছোটপর্দা থেকে বিরতি।
আরও পড়ুন: অভিকা এখন অতীত! চুটিয়ে প্রেম করছেন শ্রীতমা-অর্কপ্রভ! ডিসেম্বরের মরশুমে টলিপাড়ায় ফুটল প্রেমের ফুল
অভিনেতার কথায় টেলিভিশনে কাজ করলে আর অন্য কোনও দিকে কাজ করা যায় না। এতটাই সময় দিতে হয় টেলিভিশনকে। এই মুহূর্ত সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন অভিনেতা। একইসঙ্গে অভিনেতা জানিয়েছেন তার একটি ছোট দল আছে, ‘ন্যাড়া ছাদের গল্প’। সেখান থেকে ছোট ছোট ছবি তৈরি হয়। আর সেই দলের প্রথম ছবি ‘নিষ্পত্তি’ ৩০তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে। ছাড়াও অভিনেতার সৌরভ দাসের সঙ্গে যুগ্মভাবে রেস্তোরাঁর ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন সব্যসাচী। তাদের রেস্তোরাঁর নাম হোদলস্।