বিয়ের পর রান্নাঘরে যেতে চাননি শর্মিলা ঠাকুর! শুনে নবাব মনসুর যা করেছিলেন, জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে

শর্মিলা ঠাকুরের (Sharmila Tagore) জীবন মানেই রূপোলি পর্দার গ্ল্যামার আর ব্যক্তিগত জীবনের নানা আলোচ্য ঘটনা। সত্যজিৎ রায়ের ‘অপুর সংসার’-এর হাত ধরে অভিনয় জগতে পা রাখা শর্মিলা নিজের কেরিয়ারকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত জীবনে নবাব মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। ১৯৬৮ সালে তাঁদের বিয়ে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে শর্মিলা নতুন নাম নিয়েছিলেন আয়েশা বেগম। যদিও শর্মিলার মতে, এই সম্পর্কের ভিত কেবল ভালোবাসা নয়, ছিল পারস্পরিক সম্মান।

বিয়ের পর রান্নাঘরে যেতে চান নি শর্মিলা!

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শর্মিলা ঠাকুর তাঁদের বিবাহ-পরবর্তী জীবন নিয়ে একাধিক মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান বিয়ের পর শর্মিলাকে রান্নাঘরে যেতে বলেন। কিন্তু শর্মিলার স্পষ্ট উত্তর, ‘না’। শর্মিলা সোজাসাপটা জানিয়ে দেন, রান্নাঘরে গেলে তাঁর হাতের কারসাজিতে ভালো কিছু হবে না। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এই নিয়ে তাঁর হাস্যকর মন্তব্য, “আমি হয়তো জিজ্ঞেস করতেই থাকব, এটা কোথায়, ওটা কোথায়!”

Bollywood

তবে শর্মিলার এই সাফ উত্তর মনসুরকে দমিয়ে দেয়নি। বরং তিনি নিজেই রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন এবং নিত্যনতুন রেসিপি তৈরি করতে শুরু করেন। শর্মিলার কথায়, মনসুর এতটাই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন যে, বন্ধুদের কাছ থেকে রেসিপি সংগ্রহ করতেন বা ইউটিউব দেখে রান্নার কৌশল শিখতেন। শর্মিলা একবার লন্ডনে থাকার সময় শুনেছিলেন, মনসুর এক পার্টিতে বন্ধুদের চমৎকার রান্না খাইয়েছেন। শর্মিলা মনে করেন, রান্নাঘর থেকে দূরে থাকার পরামর্শই তাঁদের দাম্পত্যে এক মজাদার অধ্যায় যোগ করেছিল।

Bollywood

মনসুর আলি খান রান্নাঘরের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর তা রীতিমতো এক গবেষণাগারের মতো হয়ে ওঠে। তাঁর নতুন নতুন খাবার তৈরি করার দক্ষতা বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। শর্মিলার মতে, রান্নার প্রতি মনসুরের এই উৎসাহ তাঁদের দাম্পত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। এতে শুধু রান্নাঘরের পরিবেশ বদলায়নি, তাঁদের বন্ধুত্বও গভীর হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ পাস্তার এক প্লেটেই জমে উঠল রাঙা-একলব্যর সম্পর্ক! রোম্যান্সে ভরপুর রাঙামতির আজকের পর্ব

তিন সন্তান—সইফ, সোহা, সাবাকে নিয়ে তাঁদের পরিবার আজও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। শর্মিলা ঠাকুরের এই গল্প শুধু তাঁদের দাম্পত্যেরই নয়, জীবনের মজাদার মুহূর্তগুলিকে উপভোগ করার শিক্ষাও দেয়। নবাব-নবাবনির এই কাহিনি যে শ্রোতাদের হাসি-ঠাট্টায় ভরিয়ে দিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।