আমি অভিনয় দিয়ে নিজের স্টেটাস তৈরি করেছি, দামি জামা কাপড়, দামি গাড়ি দিয়ে নয়! অকপট টোটা

বাঙালি মানেই কেবল বইপ্রেমী নয়, সঙ্গীত প্রেমী এমনকি সিনেমা প্রেমীও বটে। আর সেই সিনেমার গল্প যদি হয় গোয়েন্দাভিত্তিক তাহলে আর কোনো কথাই নেই। বাঙালির কাছে গোয়েন্দা মানেই ব্যোমকেশ থেকে শুরু করে ফেলুদা। ফেলুদা বলতেই বাঙালি দর্শকদের কাছে যাঁর মুখ ভেসে ওঠে তিনি হলেন অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জী (Soumitra Chatterjee)। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ফেলুদা, তোপসে এবং লালমোহন বাবুরও মুখ বদলেছে এই চরিত্রে।

বর্তমানে, এই শীতের মরশুমে টলিউডের বিনোদন জগতে সিনেমার রিলিজের পাশাপাশি মুক্তি পাচ্ছে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজও। এই সময়ে ওটিটি জগতে সদ্য মুক্তি পেল সৃজিত মুখার্জির পরিচালিত দ্বিতীয় সিরিজ ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি:- ভূস্বর্গ ভয়ংকর’। এই সিরিজের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছে টোটা রায় চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী প্রমুখরা।

tota roychowdhury

এই ওয়েব সিরিজকে ঘিরে অভিনেতার সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। এর সাথে আরও নানা আলোচনাও চলেছে সাক্ষাৎকারে। ছিন্নমস্তা থেকে ভূস্বর্গে ভয়ঙ্কর, এখন কি অনেক পরিণত ফেলুদা? সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন করাতেই অভিনেতা বললেন, সেটা তো দর্শকেরা বলবেন। একটা কোথাও যেন তটস্থ, একটা ভিত্তি ছিল। প্রথমবার ফেলুদা করার সময় একটা ভয় ছিল। তাই খুব সেফ খেয়েছিলাম। সাহসের সঙ্গে খেলা সেটা ভূস্বর্গ ভয়ংকরে। অভিনেতার কাছে ফেলুদার চরিত্র ভীষণই এক আটপৌরে মানুষ। ফেলুদা যেমন একাধারে দাদা তেমন অন্যদিকে ভীষণ সৎ কঠিন ধরনের একটি মানুষ। ফেলুদার এই ব্যাপারটিকেই টোটাকে আকৃষ্ট করেছে। এই ধরনের নানা মন্তব্য প্রকাশ করেন অভিনেতা টোটা রায় চৌধুরী। অবশেষে অভিনেতাকে দেখে বোঝা গেল, তিনি বেশ আশাবাদী যে তাঁর অভিনীত এই সিরিজ বাংলার সমগ্র দর্শককে ভালো লাগবে।

আরও পড়ুনঃ আঁখির বিয়ে ভেঙে আঁখিকে নিয়ে পালালো দেবা! ভালোবাসা পরিপূর্ণতা পাবে? শেষরক্ষা হবে কী?