বিনোদন জগতে থাকলে কমবেশি সব তারকাদের নিয়েই সমালোচনা করা হয়ে থাকে। বরং, বলা যেতে পারে বিশেষত সাধারণ মানুষেরা প্রায় ওত পেতে বসে থাকে তারকার যেকোনো বিষয়ে সমালোচনা করার জন্য। সমালোচকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মন্দ ছাড়া ভালো কিছুই বলে না। কিন্তু, বর্তমানে ঘটেছে এক উল্টো বিষয়, যা সচারচর ঘটে না। তিনি হলেন টলিউডের (Tollywood) বিশেষ করে ছোটপর্দার অন্যতম পরিচিত মুখ।
অন্বেষা হাজরা, বাংলা বিনোদন জগতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। সম্প্রতি অভিনেত্রীকে দেখা গিয়েছে বড় পর্দায় ‘৫নং স্বপ্নময় লেন’ সিনেমাতে এবং রোজ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে জি বাংলার ‘আনন্দী’ ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায়। খুবই প্রাণবন্ত এবং খোলামেলা প্রকৃতির মানুষ অভিনেত্রী। অন্বেষার অভিনয় যাত্রা শুরু হয় স্টার জলসার ‘চুনী পান্না’ মেগার হাত ধরে। তারপর থেকে একে একে বড়ো প্রজেক্ট পেয়েছেন অভিনেত্রী।
এই মুহূর্তে অভিনেত্রীকে নিয়ে চলছে নেটিজেনদের মধ্যে তোলপাড় করা আলোচনা। ‘এতো কম বয়সে জীবনে সফলতাকে ছুঁতে পেরেও এতটা সাধারণ থাকে কী করে মানুষ?’-এই ধরনের প্রশ্ন চলছে অনেকের মনেই। তাই অভিনেত্রীর একান্ত ভক্ত, তাঁকে নিয়ে মনের মতন করে লিখে ফেললেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিজেই প্রশ্ন করে, নিজেই তার উত্তর দিলেন।
পোস্টে লেখা আছে, “এই মেয়েটা এমন কেন? কীভাবে সকল চরিত্র এত্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে মেয়েটি? বোঝায় যায়না যে ওটা অভিনয় নাকি বাস্তব!! যেখানে কেউ কেউ কিছুটা জনপ্রিয়তা পেয়েই অহংকারি হয়ে যায়, সেখানে এই মেয়েটা এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েও কোনো অহংকারই করেনা।” তাঁর অভিনেত্রীকে দ্বিতীয় প্রশ্নে লেখা আছে, “বর্তমানে এমন মানুষও হয়? অন্বেষাদিকে আমার চুনিপান্না থেকেই ভালো লাগে।তারপর আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয় ধারাবাহিকে এক অন্য অন্বেষাকে আবিষ্কার করি আমরা।আর বর্তমানে আনন্দী তে পুরো ফাটিয়ে দিচ্ছে”।
আরও পড়ুনঃ পরিনতি পেল ভালোবাসা, আঁখির সঙ্গে বিবাহ সম্পন্ন দেবার! ‘দুই শালিক’-এর সত্যি জানবে গৌরব-দেবা?
এমনকি ভক্ত প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে লেখেন, “নিঃসন্দেহে অন্বেষাদির করা সেরা চরিত্র উর্মি কিন্তু আনন্দী চরিত্রটি যেন সব চরিত্রকেই ছাপিয়ে যাচ্ছে”। এই ধরনের মন্তব্যই কেবল করতে পারে একজন সত্যিকারের ভক্ত, শুভাকাঙ্খী। সমাজমাধ্যমের সাহায্যে বলতে চেয়েছেন সব ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেকে ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে অন্বেষা। এখন নির্ভেজাল ভক্তের পোস্ট ঘিরে অনেক নেটিজেনরাই আলোচনা করছেন এবং এই দেখে অভিনেত্রীর প্রশংসা করার ঘটা বাড়ছে বোই কমছে না।