কথায় আছে, ‘সময়ের চাকা ঘুরছে’ অর্থাৎ কার সঙ্গে কখন কী হয় যায় তা আগে থেকে কিচ্ছু বলা যায় না। আবার, অনেকেই মনে করেন ‘সবই ভগবানের ইচ্ছা’। বলা হয়, যেকোনো শিল্পীদের উপার্জনের কোনো স্থিরতা থাকে না। কাজ আছে তাই উপার্জনও আছে আবার কখন কাজ নেই তাই বন্ধ রোজকার। কিন্তু, মানুষের পেট কি আর এই কঠিন বাস্তবকে বোঝার সাধ্য রাখে? তাই, অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক মানুষকে দেখা গিয়েছে ক্রিয়েটিভ (Creative) জগতকে ছেড়ে নেমেছে বাস্তবের রাস্তায়। করতে নেমেছে উপার্জন।
এমনই এক উদাহরণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে টলিউডের বিনোদন জগতে। বিশেষত, ছোটো পর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের পরিচালকের হাতে কাজ নেই আজ হল প্রায় দীর্ঘ দু বছর। তাই, শেষে বাধ্য হয় নামল রাস্তায় রোজগারের আশায়। পরিচালক অয়ন সেনগুপ্ত খোলা আকাশের নীচে রাস্তায় দিয়েছেন খাবারের দোকান, নাম পেটুক। আবার, এই দোকানে দেখা মিলল অভিনেতা অনিন্দ্য চক্রবর্তী, ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ। খেতে এসেছেন বন্ধুর দোকানে। ছোটো পর্দা থেকে বড়ো পর্দা এই অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে মূলত নেগেটিভ চরিত্রে।
বন্ধুর দোকানের খাবার খেতে খেতে বললেন “সাত মাস কাজ নেই। আমার মতো এমন অনেকে রয়েছেন। প্রথমে শুনলে অনেকে হাসে এটাই সত্যি। কিন্তু কেন কাজ পাচ্ছে না সেই উত্তর কারও নেই।” ‘অগ্নিপরীক্ষা’ থেকে ‘বধূঁয়া’ বিভিন্ন মেগার ভিন্ন চরিত্রে অভিনেতাকে দেখতে অভ্যস্ত দর্শকেরা। বিনোদন জগতে এই দুই জনের অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও আজ হাতে কাজ নেই, শুনে অবাক সবাই।
আরও পড়ুনঃ ‘এই মেয়েটা এত মাটির কাছাকাছি কীভাবে থাকে?’, দারুণ সাফল্য পেয়েও ভীষণ বিনয়ী অন্বেষা, প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শকরা
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া অয়নের ভিডিওতে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে খাবার বিক্রি করছে রাস্তায়। পরিচালক বললেন, “গত ২ বছর তিন মাস ধরে কাজ নেই বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘কে আপন কে পর’, ‘দীপ জ্বেলে যাই’, ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ এমন অনেক সিরিয়াল পরিচালনা করেছি আমি। আমার স্ত্রীও অভিনয় করেন। এই মুহূর্তে ‘গীতা এল এল বি’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন। অনেক দিন কোনও কাজ নেই বলেই এমন একটা দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম।” অয়নের দোকানে শুধুই কিমা ঘুগনি নয় পাওয়া যায় লোটে মাছের চপ, ভেজিটেবিল চপ, মাছের চপ আরও অনেক কিছু।