জি বাংলার (zee Bangla) ধারাবাহিক ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) একটি পারিবারিক গল্প নিয়ে আবর্তিত, যেখানে তিন বোনের সম্পর্ক ও জীবনের চড়াই-উতরাই তুলে ধরা হয়েছে। বড় বোন রাই বাবার অসুস্থতার কারণে নিজের স্বপ্ন ত্যাগ করে ছোট বোনের সঙ্গে তার হবু বরের বিয়ে দেন। এই ধারাবাহিকে রাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন আরাত্রিকা মাইতি, এবং দেবাদৃতা বসু ও স্বপ্নীলা চক্রবর্তী যথাক্রমে তার দুই বোনের চরিত্রে রয়েছেন।
শুরুর দিকে ‘মিঠিঝোরা’ সিরিয়ালটি দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। পারিবারিক কাহিনি, সংবেদনশীল মুহূর্ত এবং চরিত্রগুলোর সহজাত অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়েছিল। ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই ভালো টিআরপি পেয়েছিল এবং দর্শকদের মধ্যে এক বিশেষ স্থান করে নিতে পেরেছিল।
তবে কিছু সময় পর, ধারাবাহিকটির কাহিনীতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে এবং এতে অনির্বাণের চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে বিরক্তি তৈরি হয়। অনির্বাণের চরিত্রের একঘেয়েমি এবং তার আচরণ দর্শকদের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। ধারাবাহিকটির গল্পের গতিপথও কিছুটা স্তব্ধ মনে হতে থাকে, যা টিআরপি রেটিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সঠিক মনোযোগ এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন না আসায়, সিরিয়ালটির দর্শক সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, এবং টিআরপি তালিকায় তার অবস্থানও নীচে চলে যায়।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘মিঠিঝোরা’ ধারাবাহিকটির একটি নতুন প্রমো, যেখানে একটি চমকপ্রদ মোড় দেখা যাচ্ছে। প্রমোটিতে দেখা যাচ্ছে যে, অনির্বাণ এবং কোয়েলের এনগেজমেন্টের দিন রাই সমস্ত সত্যি ফাঁস করে দেয়। এতে প্রকাশিত হয় যে, কোয়েল আসলে ক্যান্সার পেসেন্ট নয়, সে শুধুমাত্র মিথ্যে বলেছে, কারণ সে চায় অনির্বাণ তাকে আবার নতুন করে ভালোবাসুক। এই সত্যটি বেরিয়ে আসার পর, গল্পে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে, যা নতুন উত্তেজনা এবং দর্শকদের আগ্রহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এই ঘটনাটি কীভাবে কাহিনীর গতিপথ বদলাবে এবং সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ মানবিক রূপম ইসলাম! ছোট্ট অস্মিকার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১৬ কোটি টাকা! সমস্ত অর্জিত টাকা দিয়ে দিলেন গায়ক
এখন, ধারাবাহিকটির এই নতুন মোড় ও কাহিনীর পরিবর্তন কতটা জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে, তা দেখা যাবে। অনেকেই মনে করছেন, গল্পের এই নতুন দিকটি আবার ‘মিঠিঝোরা’কে তার পুরনো জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে দিতে পারে। দর্শকদের আগ্রহের প্রতি সাড়া দিয়ে যদি ধারাবাহিকটি সঠিকভাবে তার নতুন কাহিনী উপস্থাপন করতে পারে, তবে এটি আবার টিআরপি তালিকায় শীর্ষে উঠতে পারে। তবে এটি পুরোপুরি নির্ভর করবে নির্মাতাদের ক্ষমতা এবং কাহিনীর সামগ্রিক উন্নতির উপর। সময়ই বলবে, এই নতুন মোড় কতটা কার্যকরী হয় এবং ‘মিঠিঝোরা’ আবার তার শ্রোতাদের মন জয় করতে পারে কি না।