রঙিন আলো, সঙ্গীতের সুর আর নাচের উন্মাদনায় এক জমজমাট বিয়ের আসরে এন্ট্রি নিলেন রুবেল। চারিদিকে অতিথিদের করতালিতে মুহূর্তটি হয়ে উঠল আরও স্মরণীয়। সঙ্গীতের তালে তাল মিলিয়ে নাচতে নাচতে মঞ্চে প্রবেশ করেন তিনি। একদিকে ছিল বন্ধুবান্ধবের উৎসাহ, অন্যদিকে পরিবারের উষ্ণতা।
অবশেষে বহু বছরের প্রতীক্ষা পূর্ণ হল শুভ পরিণয়ে। সোনালি সুতোয় কাজ করা পাঞ্জাবি পরে বিয়ের আসরে দেখা গেলো রুবেলকে। নাচের তালে এন্ট্রি নিলেন তিনি। অন্যদিকে একই ছন্দে লাল বেনারসি এবং সোনার গয়না গায়ে তাকে আহবান জানালেন স্বেতা। রুবেলের এই জমকালো এন্ট্রি যেন আরও বাড়িয়ে দিল বিয়ের আসরের উন্মাদনা। রুবেল-শ্বেতার বিয়ের সাজে ছিল সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। এদিন নাগেরবাজার অঞ্চলের রাজা প্যালেসে বসেছিল বিয়ের আসর।
বর-কনের পরিবারের হাসিখুশি মুখে ফুটে উঠল তাদের আনন্দের প্রতিফলন। এরপর শুরু হল বৈদিক মতে বিয়ের অনুষ্ঠান। তাদের চার হাত এক করলেন মহিলা পুরোহিত নন্দিনী ভৌমিক। পবিত্র মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে রুবেল ও শ্বেতার চার হাত এক হলো। পুরোহিতের মন্ত্রধ্বনির সঙ্গে সঙ্গেই তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। তাদের কাছের বন্ধু থেকে শুরু করে টলিপাড়ার ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দার সকলেই ছিলেন উপস্থিত এই রাজকীয় বিয়েতে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গেল রঙিন সাজে সজ্জিত অতিথিদের। সবার আনন্দ আর উচ্ছ্বাস যেন পরিবেশকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল। রুবেল ও শ্বেতা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসলেন, যেন এই মুহূর্তের অপেক্ষাতেই ছিলেন তারা। বিয়ের ভূরিভোজের তালিকায় ছিল রকমারি স্টার্টার। ছিল মাছ-মাংসের এলাহি আয়োজন। বাদ যায়নি রকমারি স্যালাডও। এছাড়াও কুলচা, চানা, ফিশফ্রাই, পোলাও, সাদা ভাত, পাঁঠার মাংস, মুরগির মাংস। থাকছে কালাকাঁদ, নতুন গুড়ের রসগোল্লা ও নানা ধরনের মিষ্টি।
মণ্ডপের চারপাশে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল, যা এই শুভ মুহূর্তকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলেছিল। নাচ, গান আর আনন্দের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো রুবেল ও শ্বেতার বিয়ের অনুষ্ঠান। বৈদিক মন্ত্রের সঙ্গে মিলেমিশে গেল ভালোবাসা, ঐতিহ্য আর আধুনিকতার সুর। দুই পরিবারের মিলন, বন্ধুদের উচ্ছ্বাস আর নবদম্পতির উজ্জ্বল হাসি যেন বিয়ের এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখল। সমাজমাধ্যমের যুগলের বিয়ের ছবি ভাইরাল হতেই ভক্তরা কমেন্ট বক্স ভরিয়ে দিলেন ভালোবাসায়।