চাঁদু এতদিন পরকীয়া সম্পর্কে ছিল, জানাল কমলিনী! এদিকে, চন্দ্রর গত ২০ বছরের অজানা রহস্য নিয়ে হাজির মিটিল! তবে, কি এবার মুখার্জি বাড়ির সকলে জানতে পারবে চাঁদু নিরুদ্দেশ হওয়ার আসল কারণ?

দিনের পর দিন নানা অপমান সহ্য করার পর অবশেষে মুখ খুলল কমলিনী। স্টার জলসার চিরসখা ধারাবাহিকে আজকের পর্বে দেখতে পাওয়া যাবে, বসার ঘরে বসে সবাই যখন কমলীনিকে সবাই নানা প্রশ্ন করছে তখন বুবলাই তাঁর ঠাম্মিকে বলছে এতদিন সে শুধু একা বলতো আজ সকলে তার মাকে জড়িয়ে অন্য ধরনের কথা বলছে।

এরপর বুবলাই ঠাম্মিকে আরও বলে, সে তার মাকে এত নিয়ম-কানুন এর মধ্যে রেখেও আজ কি ফল পেল? এমন সময় বর্ষা বলে ওঠে বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো। এই কথা শুনে বেশ রেগে যায় কমলিনী আর সেই সময় বর্ষাকে বলে, সে নিজের সীমা অতিক্রম করে ফেলছে। এমন সময়, চাঁদুও নানা কথা বলতে থাকে তাঁর মাকে।

Anashua Majumdar

দিনের পর দিন এই অশান্তির জন্য এমনকি কুর্চি পর্যন্তও কমলিনীর বিপক্ষে কথা বলছে। এমন সময়, স্বতন্ত্র সকলের কাছে এসে জানায় মুখার্জী বাড়িতে ঝামেলা হচ্ছে বলে সে নিজের কোয়াটারে চলে যাবে। এই শুনে বাড়ির সবাই তাঁকে বাধা দিতে চাইলেও বুবলাই তাঁর কথার মাধ্যমে বোঝাতে চায় যেনো নতুন চলে যায়। এরপর, স্বতন্ত্র বলে সে বিয়ে করতে চায়।

আর, বিয়ে করলেও তাঁকে নিয়ে যেসব আলোচনা চলছে তাও বন্ধ হবে। এরপর, দেখা যায় ঘরে কমলিনী নিজের ব্যাগ গোচ্চাছে বাড়ি থেকে চলে যাবে বলে। কিন্তু, কুর্চি তাতে একেবারেই সহমত নয়। কুর্চি আলাদা করে তাঁর বৌদিভাইকে বলতে এসেছে, সে চায়না কমলিনী এই বাড়ি থেকে চলে যাক। কুর্চি আরও জানায় একসময় বৌদি ভাই তার পাশে যেভাবে দাঁড়িয়েছে আজ হয়তো সে(কুর্চি) তেমনভাবে দাঁড়াতে পারছে না।


এমন সময় কথায় কথায় কমলিনী একটা চিঠি ধরিয়ে দেয় কুর্চির হাতে। দে তো আজ থেকে কুড়ি বছর আগে শহী নামের এক মহিলার চিঠি এই মুখার্জি বাড়িতে এসেছিল চাঁদুর উদ্দেশ্যে। আর, কমলিনী সেই সময় থেকেই জানে চাঁদুর কারও সঙ্গে একটা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। এই কথা জানতে পেরে তার বোন অর্থাৎ কুর্চি বলে সে কোনমতেই তার বৌদিভাইকে এই বাড়ি থেকে যেতে দেবে না।

আরও পড়ুনঃ ফের চেনা পর্দায় কামব্যাক! নতুন চরিত্রে ধরা দিচ্ছেন শ্রুতি দাস, উচ্ছ্বাসে দর্শকমহল!

এদিকে, কমলিনী বলে আইনগতভাবে তার এই বাড়িতে থাকার আর অধিকার নেই। এমন সময় মিটিল এসে কথার মধ্যে ব্যাঘাত ঘটায় আর কথায় কথায় বলে আইন তাঁকে এই বাড়িতে থাকার সমস্ত অধিকার দিয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও সে এই বাড়িতে থাকতে পারে। এরপর মিডিল আরও জানাই সে নিজের আগ্রহর জন্যই মেঘালয়ের সমস্ত হোমে কাকুর ছবি সহ চিঠি পাঠিয়েছিল। কিন্তু তারা বলে এমন কেউ ওখানে কোনদিন থাকতো না। এই শুনে অবাক হয়ে যায় কুর্চি। কিন্তু এসব কথার কোনো প্রভাবই পড়ে না
কমলিনীর ওপর।