গীতার দাপটে কাঁপছে জি বাংলা! বিপরীতে একের পর এক ধারাবাহিক ব্যর্থ, এবার শেষ ভরসা দিতিপ্রিয়ার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’

বাংলা টেলিভিশন জগত এখন বেশ প্রতিযোগিতার ময়দান হয়ে উঠেছে। প্রতিটি চ্যানেলই চাইছে টিআরপি-র লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে। বিশেষত প্রাইম টাইম স্লট ধরে রাখার জন্য ধারাবাহিক নির্মাতারা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জি বাংলা ও স্টার জলসার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টিআরপি দখলের লড়াই চলছে। একদিকে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলি টিআরপি-তে সাফল্য পেয়েছে, আবার কিছু ধারাবাহিক আশানুরূপ ফল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এই প্রতিযোগিতায় স্টার জলসার ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকটি ক্রমাগত টিআরপি চার্টের উপরের দিকে রয়েছে। ধারাবাহিকের গল্প এবং মুখ্য চরিত্র গীতা (শ্রুতি দাস) দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে। এই কারণে গীতার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জি বাংলার পক্ষ থেকে বারবার স্লট পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু গীতার জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে, তার সামনে জি বাংলার কোনও ধারাবাহিকই স্লটলিড করতে পারেনি। একের পর এক সিরিয়াল সেখানে বসানো হলেও টিআরপি-তে গীতাকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

Ditipriya Roy Rani Rashmoni

এই পরিস্থিতিতে জি বাংলা ফের বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আনন্দী (Anondi)-র স্লট বদলে নতুন সিরিয়াল নিয়ে আসছে তারা। এবার গীতার প্রতিযোগী হিসেবে রাখা হচ্ছে দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)-এর নতুন ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। দীর্ঘদিন পর দিতিপ্রিয়া ফিরছেন ছোটপর্দায়, ফলে তার অভিনয় দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে। গীতার বিরুদ্ধে এবার এই ধারাবাহিক কতটা লড়াই দিতে পারে, সেটাই দেখার।

আরও পড়ুনঃ দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর অবশেষে পুনর্মিলন! সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন উদযাপনে একসঙ্গে দেবশ্রী- প্রসেনজিৎ

জি বাংলার আগের কিছু ধারাবাহিক, যেমন ‘সোহাগ জল’, ‘মুকুট’, ‘নিম ফুলের মধু’ এবং ‘সন্দিহান’— প্রত্যেকেই গীতার স্লটে বসানো হয়েছিল। কিন্তু এই ধারাবাহিকগুলির কোনওটিই স্লটলিড করতে পারেনি। গীতার দাপটের সামনে টিকে থাকতে পারেনি তারা। এবার ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর উপর জি বাংলার বড় ভরসা। যদি এই ধারাবাহিকও ব্যর্থ হয়, তবে সেই স্লট নিয়ে আরও নয়া পরিকল্পনা করতে হতে পারে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে।

এখন দর্শকের নজর থাকছে দিতিপ্রিয়ার এই নতুন ধারাবাহিকের দিকে। কি ধরনের গল্প দেখানো হবে? গীতার মতো শক্তিশালী ধারাবাহিককে টক্কর দিতে পারবে তো? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে আসন্ন টিআরপি রিপোর্টে। তবে আপাতত, জি বাংলার নতুন কৌশল সফল হয় কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।