স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় ধারাবাহিক গৃহপ্রবেশ (Grihoprobesh)-এ বর্তমানে দেখানো হচ্ছে শুভর মা হওয়ার জার্নি। অন্যদিকে, শুভকে জব্দ করার সব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে সেবিন্তীর। এরই মাঝে আদূতকে ভারতে যেতে হবে একটি বড় ব্যবসায়িক চুক্তির জন্য। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের বর্তমান গল্প।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যাচ্ছে ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য আদৃত বেরিয়ে পড়েছে অন্যদিকে শুভ ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করছে। কোন একটা কারণে শুভ কিছুতেই শান্তি পাচ্ছে না। সে বারবার ভাবতে থাকে এর আগেও বহুবার আদৃত ইন্ডিয়া গেছে কিন্তু কোন বার তার মন এমন করেনি, তার খালি মনে হতে থাকে কিছু একটা খারাপ হতে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তেই আদৃতের ভিডিও কল আসে। এরপর সে শুভ কেমন আছে সেই খোজ খবর নেয় আর বলে, “সময় মত খাওয়া দাওয়া করে ওষুধপত্র খেয়ে নেবে। আমি যত তাড়াতাড়ি পারি, কাজটা মিটিয়ে চলে আসব”।
ঋদ্ধি আর ডোনা আড়াল থেকে সবটা দেখে বলতে থাকে সত্যিই শুভর জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু কিছু করার নেই। এরপর রাতের বেলা শুভর নিজের বাবার জন্য মন কেমন করতে থাকায় সে বাবাকে ফোন করে। ইন্ডিয়ায় তখন দিন থাকায় শুভর বাবা পুজো করছিলেন, মেয়ের ফোন পেয়ে তিনি খুশি হয়ে যান। শুভ বাবাকে বলে, “কতদিন তোমাকে দেখি না তোমার জন্য মনটা খুব খারাপ হয়।” অন্যদিক থেকে শুভর বাবা বলে, “আমাদের ভাগ্যেই যদি আলাদা থাকা লেখা থাকে তাহলে কি করা যাবে কিন্তু তুই চিন্তা করিস না আমরা খুব তাড়াতাড়ি এক হব।”
শুভ তখন জানায় যে আদৃত দেশে ফিরেছে এবং সে তার বাপের বাড়িতে যাবে এই কথা শুনে তার বাবা অনেক খুশি হয়। তারপর ফোন রাখতেই ঘরে অয়না আসে। অয়না বলে আজকে আমি তোমার সাথেই রাত্রে ঘুমাবো। শুভ আপত্তি করে তাও সে শোনে না। মাঝরাতে একবার আদৃত ফোন করে বলে যে সে ইন্ডিয়া পৌঁছে গেছে কিন্তু সব জায়গায় সে শুভকেই দেখতে পাচ্ছে। এই কথা শুনে শুভ বলে, “সাবধানে গাড়ি চালাবে আর যে কাজটা করতে গেছো তাড়াতাড়ি করে ফিরে আসবে আমার তোমাকে ছাড়া একদম ভালো লাগছে না।এরপর সারারাত শুভ ঘুম আসে না।
রাতে দেরি করে ঘুমানোর কারণে শুভ সকাল বেলা তাড়াতাড়ি উঠতে পারে না কিন্তু বাড়ির সব লোক এসে তাকে ঘুম থেকে তুলে বলে, “আজকে তো দোল! রং খেলতে যাবে না আমরা অনেক মজা করব”। এরপর শুভ সেজেগুজে নিচে যায় রং খেলতে। রং খেলার সময় সবাই অনেক মজা করতে থাকে কিন্তু হঠাৎ করে কেউ একটা শুভর দিকে এমন ভাবে রং ছোড়ে যে শুভ পুরো ভিজে যায় ও তার সিঁথির সিঁদুরও ধুয়ে যায়। সেবন্তী বলে এমন ভাবে কেউ রং ছোড়ে এরকম অবস্থায় মেয়েটার দিকে।
তারপর সবাই শুভকে নিয়ে ঘরে যায়। অন্যদিকে আদৃত গাড়ি চালাতে চালাতে আশেপাশে সব জায়গায় শুভকেই দেখতে থাকে সে লক্ষ্য করে না তার সামনে দিয়ে একটা বড় গাড়ি আসছে। এরপর এক ভয়ানক দুর্ঘটনা সম্মুখীন হয় আদৃত। একটা বড় গাছে গিয়ে ধাক্কা মারে তার গাড়ি। মুহূর্তে আগুন জ্বলে যায়। আশেপাশের সব লোক এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুভ আদৃতকে অনেকবার ফোন করতে থাকে। কিন্তু কোন ভাবেই তাকে ফোনে পাওয়া যায় না। সেই সময় সেবন্তী শুভর জন্য খাবার নিয়ে আসে, শুভ বলে আমার একদম খেতে ভালো লাগছে না।
আরও পড়ুনঃ “সুবুরে মেওয়া ফলে”, আবার প্রমাণ করলেন সায়ক চক্রবর্তী! চিরসখার পর ফের পেলেন নতুন কাজের সুযোগ
সেবন্তী বলে নিজের জন্য না হলেও বাচ্চাটার জন্য খেতেই হবে। শুভ জানাই তার আদৃতের জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে। সেবন্তীও বলে যে হাজার বার ফোন করেও সে আদৃতকে পাইনি। এরপর রাতের বেলা ঋদ্ধির কাছে ফোন আসে, আদৃতের দুর্ঘটনা নিয়ে। কিন্তু তারা কেউ জানে না যে আদৃত বেঁচে আছে। ঋদ্ধি তাই সবাইকে বলে দুর্ঘটনায় আদৃত মারা গেছে। এই কথা শুনে পুলক তাকে চড় মারে। সবাই ঠিক করে শুভকে কোনভাবেই এই ঘটনার কথা বলা যাবে না। অন্যদিকে শুভর অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। আদৃতের সাথে সে যোগাযোগও করতে পারে না। এরই মধ্যে একদিন শুভ জানতে পেরে যায় সম্পূর্ণ ঘটনাটা এবং তার অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। এইখানেই পর্বটি শেষ হয়ে যায়।