আমি প্রতি জন্মে নারী হয়ে জন্মাতে চাই! কন্যা সন্তানের মা হতে চাই, নারীদের সংসার থেকে বাইরে সব দিক সামলাতে হবে! নারী দিবসে অকপট নীলাঞ্জনা

আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International women’s day) প্রতি বছর ৮ মার্চ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। এই দিনটি নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সাফল্যকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি লিঙ্গ সমতার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নারী দিবস কেবলমাত্র উদযাপনের জন্য নয়, বরং এটি সমাজে নারীদের অবস্থান, তাঁদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প তুলে ধরার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীরা তাঁদের প্রতিভা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং সমাজের রূঢ় বাস্তবতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে চলেছেন।

‘নীলাঞ্জনা শর্মা’ (Nilanjana Sharma) বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন জগতের এক সুপরিচিত নাম। জনপ্রিয় অভিনেতা ‘যীশু সেনগুপ্ত’র স্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি, তিনি নিজেও একজন সফল অভিনেত্রী ও পরিচালক। একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায় তাঁর অভিনয় দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি পরিচালনাতেও দক্ষতা দেখিয়েছেন এবং বিভিন্ন নাটক ও স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের মা নীলাঞ্জনা, তাই তাঁর কাছে নারী দিবসের তাৎপর্য শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রেই নয়, পারিবারিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সঙ্গেও জড়িত।

সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নীলাঞ্জনা শর্মা তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, নারীদের নিজেদের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলার সাহস রাখা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, “একজন নারী কেবল ঘরের দায়িত্ব পালন করেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে না। সমাজের প্রতিটি স্তরে তাঁদের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতেই হবে।” তাঁর মতে, নারীরা যদি নিজেদের মূল্য ও ক্ষমতা বুঝতে পারেন, তাহলে সমাজে বড় পরিবর্তন আনতে পারবেন।

নীলাঞ্জনা শর্মার মতে, নারী দিবস কেবলমাত্র একটি দিনের উদযাপন নয়, বরং প্রতিটি নারীকে সারা বছর নিজের মতো করে বাঁচার ও নিজের সুখকে প্রাধান্য দেওয়ার সুযোগ পাওয়া উচিত। তিনি বলেন, “নিজের জন্য কোনটা সেরা, সেটা নিয়ে নিজেকেই ভাবতে হবে। মাল্টি-টাস্কিং করা যেমন জরুরি, তেমনি নিজের ইচ্ছে মতো বিশ্রাম নেওয়াও সমান দরকারি।” দুই কন্যার মা হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন, সন্তানরা কথার চেয়ে মায়ের জীবনযাত্রা দেখেই বেশি শেখে। তাই তিনি চান, তাঁর মেয়েরা শক্তিশালী ও স্বাধীনভাবে বড় হয়ে উঠুক।

আরও পড়ুনঃ টিআরপি তালিকায় তেমন নম্বর নেই! বন্ধের মুখে স্টার জলসার জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক?

নিজের মা, অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিকের কাছ থেকেও তিনি বড় শিক্ষা পেয়েছেন—কখনও স্বার্থপর হয়ে কাজ না করা, অন্যের কাছ থেকে কিছু আশা না রাখা এবং নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকা। তিনি মনে করেন, সমাজে নারীদের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়, তবুও একজন নারী হওয়া অত্যন্ত গর্বের। তিনি বলেন, “আমি বারবার জন্ম নিলে মেয়ে হয়েই জন্ম নিতে চাই এবং মেয়ে সন্তানের মা হতে চাই। এর চেয়ে বড় আশীর্বাদ আর কিছু হতে পারে না।”