স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গৃহপ্রবেশ’ (Grihoprobesh)-এ এসেছে বড় মোড়। শুভর পরিবারে খুশির আমেজ, কারণ সে এক ফুটফুটে পুত্রসন্তান “কেশবের” মা হয়েছে। কিন্তু আদৃতের জীবনে নেমে এসেছে বিপর্যয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কাজে ভারতে গিয়ে সে ভয়ংকর দুর্ঘটনার শিকার হয়, আর সবাই ধরে নেয় সে আর বেঁচে নেই! দেশের মাটিতে নতুন পরিচয় নতুন জীবন শুরু করে আদৃত। এই নতুন টুইস্টে জমে উঠেছে ধারাবাহিকের গল্প।
আজকের পর্বের শুরুতেই দেখা যায় আদৃতের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন মিস্টার সেন রায় বাড়িতে উপস্থিত এবং জানায়, আদৃত তার সাথে মোটা অংকের টাকা চুক্তি করেছিল কিন্তু সেই যখন আর নেই তখন এই চুক্তি ভেঙ্গে ফেলতে ও টাকা ফেরত নিতে এসেছে সে। টাকার অংক শুনে শুভ বুঝে যায় এই চুক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাই শুভ সিদ্ধান্ত নেয় আদৃতের না করতে পারা কাজ ও নিজে করবে। এরপর অন্যদিকে মোহনার মায়ের সাথে আদৃত গল্প করতে থাকে। হঠাৎ আদৃত বলে যে মোহনা ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করেনা নিজের যত্ন রাখে না।
মোহনায় এসে আপত্তি জানালে তার মাও তাকে শাসন করে বলে তার চেহারার দিকে তাকালেই বোঝা যায় সে আদৌ খায় কি খায় না। ঠিক এমন সময় টিভিতে দেখানো হয় বেশ কিছু জায়গায় বিদেশে বরফ পড়ছে আর আদৃত হঠাৎ বলে ওঠে, “বেলচা দিয়ে বরফ সরাতে আমার খুব ভালো লাগে।” আদৃতের এই মন্তব্য শুনে মোহনার খুব খটকা লাগে। সে তার মাকে বলে “জানো তো মা মাঝে মাঝে আয়ান এমন কথা বলে আমার মনে হয় ও বিদেশে থাকতো।” অন্যদিকে দেখানো হয় রায় বাড়িতে সবাই একসাথে রাতের খাবার খেতে বসেছে এবং ওই চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে।
রূপক বলে, “যাওয়ার আগে একবার যদি আদৃত আমাকে জানাতো এতগুলো টাকা ও ইনভেস্ট করছে, তাহলে আমি ওকে একবার ভাবতে বলতাম।” সবাই শুভকে বলে যে শুভ কাজটা করবে দায়িত্ব নিয়ে তো নিল কিন্তু এতগুলো টাকা সে কোথায় পাবে। শুভ জানায় আদৃতের ভালো মানের তার ভালো, আর আদৃতের খারাপ মানে তারই খারাপ সুতরাং তাকেই কাজটা করতেই হবে। আর অন্যদিকে দেখা যায় মিস্টার সেন শুভকে দেখার পর থেকে খুব উতলা হয়ে রয়েছে। এদিকে দেশে ফেরার সময়ও এসে গেছে তার।
কিন্তু কোনভাবেই সে দেশে ফিরতে চায় না আর মনে মনে ভাবে আগে কোনদিনও এমন হয়নি কোন বিজনেস পার্টনারকে দেখে হঠাৎ এমন কেন হচ্ছে। অন্যদিকে দেখা যায় রাতে ঘুমের মধ্যে আদৃত স্বপ্নের শুভ ও বাকি লোকেদের সাথে কাটানো মুহূর্ত আবঝা দেখতে থাকে। হঠাৎ চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠে যায় সে আর মোহনা ছুটে আসে। আদৃত মোহনাকে জানায় সে স্বপ্নে নিজের বাড়ির লোকেদের দেখেছে কিন্তু কিছুই মনে করতে পারছে না। মোহনা তাকে আশ্বস্ত করে আবার ঘুমাতে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে মিস্টার সেন নিজের ভিসা ক্যানসেল করে আমেরিকায় আরো কিছুদিন থাকা সিদ্ধান্ত নেয়।
আর ঠিক করে সকাল হলেই শুভ সাথে একবার কথা বলতেই হবে তাকে।আর ঠিক সেই মতোই সকাল হতেই রায় বাড়ি পৌছে যায় মিস্টার সেন। শুভলক্ষ্মী সাথে কথা বলতে থাকে সে আর জানায় সে কিছু টাকা জোগাড় করেছে আর কিছু টাকার বিশেষ করে রয়েল আমেরিকার ৫০ ভাগ শেয়ার তাকে দিলে এই কাজটা সে করতে পারবে। শুভর হতে আর কোনও রাস্তা না থাকায় সে হ্যাঁ বলে দেয়। এরপর মিস্টার সেন এর কাছে মোহনার ফোন আসে, মোহনা তাকে জিজ্ঞেস করে দেশে কবে ফিরছে সে। মিস্টার সেন জানায় সে নিজের ভিসা ক্যানসেল করেছে আরো বেশ কিছুদিন থাকবে আমেরিকায়।
আরও পড়ুনঃ এত ছেলে মেয়ে, ইচ্ছে করেই রাসমণির চরিত্র আমি করিনি! “রক্ষে করো রঘুবীর কথাটাই আমি বলতে চাই না” মানালির মন্তব্যে চটল নেট পাড়া!
মোহনা ভাবে এর আগে এমন কোন দিন তার দাদা করেনি এবার কি হলো। কারণ জানতে চাইলে, মিস্টার সেন জানায় শুভলক্ষী রায়ের সাথে একটা ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সে জন্যই তাকে এখানে থাকতে হবে। শুভর নাম শুনতেই আদৃতের মাথা যন্ত্রণা হতে শুরু করে আর আবছা আবছা মনে করতে থাকে। আজকের পর্ব এখানেই শেষ হয়ে, তবে কি এবার সব মনে পরে গেল আদৃতের?